- এপ্রিল ১৭, ২০২০
- শীর্ষ খবর
- 747
বানিয়াচং প্রতিনিধিঃ বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জে বৈশাখী সোনালী ফসল ঘরে তুলতে কোন শ্রমিক সঙ্কট হবে না বলে মন্তব্য করেছেন হবিগঞ্জ-২ আসনের এমপি আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান।
শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) বিকালে ৬নং কাগাপাশা ইউনিয়নে উপজেলা কৃষি বিভাগের উদ্যোগে আনুষ্ঠানিক বৈশাখী ধান কাটা উৎসবে যোগ দিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
এসময় কৃষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, করোনাভাইরাস সারা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছে। দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। এর বাইরে নয় প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশও। এরই মধ্যে হাওড় অঞ্চল বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জে বৈশাখী সোনালী ফসল ঘরে তোলার সময় হয়েছে। এতে শ্রমিক সঙ্কটের যে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল তা আশা করি হবে না। কারণ, ওই দু’ এলাকার যে মানুষরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছিলেন তারা বাড়িতে রয়েছেন। তাদের একটি অংশ ধান কাটায় অভ্যস্থ। তাছাড়া অন্যান্য জেলা থেকে যদি কোন কৃষক শ্রমিক আনতে চান তাহলে তাদের সুযোগ দিয়েছেন সরকার। এসব শ্রমিকরা সরকারি-বেসরকারি সব স্কুল প্রতিষ্ঠানে রাত্রি যাপন করবেন। তাদের খাদ্যসহ যে কোন জিনিসের অভাব হবে না। এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত সচেষ্ট রয়েছে প্রশাসন। তাদেরকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে।
তিনি আরও বলেন, কৃষকরা যাতে করে অতি সহজেও কম খরছে তাদের সোনালী ফসল গোয়ালে তুলতে পারেন এ জন্য ভতুর্কী দিয়ে কম্পাইন হারভেস্টার মেশিন দিচ্ছেন সরকার। যা দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে অনেকগুলো জমির ধান কাটা সম্ভব। এর মূল্য হচ্ছে ২২ লাখ টাকা। যা ইউসুফপুর গ্রামের সামছু মিয়া উপজেলা কৃষিবিভাগের সাথে যোগাযোগ করে এনেছেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সরকার ১২ লাখ টাকা ভর্তুকী দিচ্ছেন প্রতিটি মেশিনে। এতে করে এ মেশিনে ধান কাটাসহ মাড়াই এক সাথেই হবে।
তিনি বলেন, আমি আশা করি করোনাভাইরাসের যে ক্ষতি অন্যান্য দেশে হবে, তা কিন্তু আমাদের বৈশাখী ফসল যদি পুরোপুরিভাবে ঘরে তোলা যায়, তাহলে ক্ষতি অনেকটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। তাছাড়া আমাদের খাদ্যের কোন ঘাটতি হবে না। আমি বিশ্বাস করি কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে, এবং দেশ বাঁচলে কৃষকও বাঁচবে। এ ক্ষেত্রে কৃষকদের ধানকাটা সম্পন্ন করতে সরকার সর্ব শক্তি দিয়ে পাশে আছেন। কৃষকদের যে কোন সমস্যা সমাধানে মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এরপরও যদি কোন কৃষক সমস্যার সম্মুখীন হন তাহলে সাথে সাথে স্থানীয় কৃষিবিভাগকে জানানোর জন্য তিনি কৃষকদের প্রতি অনুরোধ জানান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ দুলাল উদ্দিন, ৬নং কাগাপাশা ইউপি চেয়ারম্যান মো. এরশাদ আলী, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রতিনিধি মখলিছ মিয়া, দৈনিক খোয়াই’র স্টাফ রিপোর্টার শিব্বির আহমদ আরজু, উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা আবু কাওছারসহ এলাকার গণ্যমান্য
ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য, এ বছর বানিয়াচং উপজেলায় ইরি-বোরো জমি আবাদ হয়েছে ৩৫ হাজার ১শ’ হেক্টর। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১লাখ ৭৫ হাজার মেট্টিকটন এবং এখন পর্যন্ত কর্তন হয়েছে ২ হাজার ১শ’ হেক্টর জমি।