- ডিসেম্বর ২১, ২০২০
- জাতীয়
- 442
নিউজ ডেস্কঃ দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত) আরও ১ হাজার ৪৭০ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ সময়ে মারা গেছেন ৩২ জন।
আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় অ্যান্টিজেনভিত্তিক পরীক্ষাসহ মোট ১৫ হাজার ৬৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ১৬৭ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৬৯৪ জন।
দেশে এ পর্যন্ত মোট সংক্রমিত হয়েছেন ৫ লাখ ২ হাজার ১৮৩ জন। করোনায় দেশে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৭ হাজার ৩১২ জন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। ক্রমেই মহামারি আকারে সংক্রমণ বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা শনাক্তের কথা জানায় সরকার।
প্রথম রোগী শনাক্তের তিন মাস পর ১৮ জুন তা এক লাখ ছাড়িয়ে যায়। এরপর এক মাসের ব্যবধানে ১৮ জুলাই শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় দুই লাখে। এর পরের এক লাখ রোগী শনাক্ত হয় ১ মাস ৯ দিনে, ২৬ আগস্ট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছাড়ায় ৩ লাখ। গত ২৬ অক্টোবর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪ লাখ ছাড়িয়ে যায়। আর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫ লাখে পৌঁছাতে সময় লাগে ৫৫ দিন।
মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকার পর গত নভেম্বরের শুরুর দিক থেকে শনাক্তের হারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়। তবে এক সপ্তাহ ধরে দেশে করোনা সংক্রমণের হার কম দেখা যাচ্ছে। টানা চার দিন শনাক্তের হার ১০ শতাংশের কম থাকার পর গতকাল শনিবার শনাক্তের হার ১০ শতাংশ ছাড়িয়েছিল।
কোভিড-১৯-এ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হয় গত ১৮ মার্চ। শুরুর দিকে প্রায় এক মাস মৃত্যু ছিল অনিয়মিত ঘটনা। ৪ এপ্রিল থেকে গতকাল পর্যন্ত প্রতিদিন দেশে করোনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মে মাসের মাঝামাঝি থেকে কখনো মৃত্যু টানা কমতে দেখা যায়নি। মৃত্যুর সংখ্যা নিয়মিত ওঠানামা করতে দেখা গেছে।
জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, টিকা না আসা পর্যন্ত সংক্রমণ প্রতিরোধের মূল উপায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। বিশেষ করে বাইরে বের হলে মুখে মাস্ক পরা শতভাগ নিশ্চিত করা, কিছু সময় পরপর সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার বিধি মেনে চলতে হবে।