• জানুয়ারি ৭, ২০২১
  • রাজনীতি
  • 421
১০ জানুয়ারি বিএনপির বিক্ষোভ মানে স্বাধীনতাকে অস্বীকার

নিউজ ডেস্কঃ আগামী ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনে বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি মানে তারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করে। তারা যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না সেটি সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ৭ জানুয়ারি সরকারের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এ মন্তব্য করেন।

১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বিএনপি বিক্ষোভ কর্মসূচি ডেকেছে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা বিক্ষোভ কর্মসূচি অন্যদিন করতে পারতো। ৯ জানুয়ারি বা ১১ জানুয়ারি করতে পারতো। আর বিক্ষোভ কর্মসূচির সঙ্গে তাদের যে জোটসঙ্গী জামায়াত আছে, যারা বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে বিরোধিতা করেছিল দলগতভাবে। এমনকী পাকিস্তানের পক্ষে লড়াই করেছিলে। তাদের নিয়ে ১০ জানুয়ারি বিক্ষোভ করা মানে তারা যে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না সেটি সত্য বলে শিকার করে নিল।

হাছান মাহমুদ বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে বাঙালি জাতি এ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে। আমাদের স্বাধীনতা ১০ জানুয়ারি পূর্ণতা পায়। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করলেও বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে না আসা পর্যন্ত আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়নি। যেদিন আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছে, সেদিন বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা মানে তারা প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে তারা যে বিশ্বাস করে না সেটিরই বহিঃপ্রকাশ।

বিএনপি মহাসচিব বলেছেন তারা বৃহত্তর ঐক্য নিয়ে মাঠে নামবে। সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বৃহত্তর ঐক্য তারা গত নির্বাচনের আগেও করেছিল। ডান, বাম, অতি বাম, অতি ডান, প্রতিক্রিয়াশীল এবং ধর্মান্ধ গোষ্ঠী সবাইকে নিয়ে ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা চেষ্টা করেছিল সরকারের বিরুদ্ধে একটি বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে। দেখা গেলো সেই ঐক্য কাচের গ্লাসের মতো ভেঙে গেছে। যে দলগুলো একত্রিত হয়েছিল সেই দলগুলোর আভ্যন্তরীণ ঐক্যই নেই। বিএনপির ভিতরেই ঐক্য নেই।

‘আমি মির্জা ফখরুল সাহেবকে অনুরোধ জানাবো অতীতেও তারা বৃহত্তর আন্দোলন করেছে কিন্তু তাতে তারা ফল পাননি। তাই নিজের দলের ঐক্যটাকে ধরে রাখার চেষ্টা করাই শ্রেয়। ’