- অক্টোবর ২১, ২০১৮
- লিড নিউস
- 522
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : সিলেটের বিশ্বনাথে ছাত্রদল নেতার বাড়িতে ফের হামলার ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রদল নেতাকে বাড়িতে না পেয়ে তাঁর বাবা-মাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
হামলাকারীরা ছাত্রদল নেতার বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টার করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরা। তবে আশপাশের বাসিন্দারা এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান।
শনিবার (২০ অক্টোবর) রাতে বিশ্বনাথ উপজেলার মান্দারুকা গ্রামে ছাত্রদল নেতা মোহা. মিছবা আহমদের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এর আগেও গত ১০ অক্টোবর সন্ধ্যায়ও ছাত্রদল নেতা মিছবার বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছিল। সে সময় মিছবার চাচা সাহিদ আলী খুন হয়েছিলেন।
গত শনিবার ফের হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন মিছবা আহমদের বাবা মোহা. আকবর আলী ও মা আছিয়া বেগম। তাঁদের বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় এবং মিছবা আহমদের পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, মান্দারুকা গ্রামের মিছবাহ আহমদের সঙ্গে প্রতিবেশী আওয়ামী লীগ নেতা হাজী লয়লুছ মিয়ার মেয়ে আমিনা বেগমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে তারা পালিয়ে গেলেও পরবর্তীতে আমিনা বেগমকে ধরে বাড়িতে নিয়ে যায় তার ভাইসহ পরিবারের লোকজন। পরবর্তীতে আমিনা বেগম বাড়ি যাওয়ার পর রাগে ক্ষোভে আত্মহত্যা করেছিল। এ ঘটনার পর থেকে মিছবার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে সরকারি প্রভাবশালী নেতাদের ব্যবহার করে একাধিক মামলা ও হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল লয়লুছ মিয়ার এবং তাঁর ছেলেরা।
মিছবার বাবা আকবর আলীর দাবি এরই জের ধরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাঁদের পরিবার বারবার নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। হামলাকারীরা বারবার তার ছেলে মিছবা কোথায় আত্মগোপনে রয়েছে জানতে চেয়েছে। লয়লুছ মিয়ার মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় মিছবা দায়ি বলেও তারার বারবার অভিযোগ করছিল। এ ঘটনা স্থানীয় পুলিশকে জানালেও কোনো ফল পাচ্ছেন না। পুলিশ শুধু বলছে ছেলেকে বের করে দিতে।
তিনি বলেন, ছেলে প্রাণ ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ছেলেকে আওয়ামী লীগ নেতা লয়লুছ মিয়ার লোকজন পেলে মেরে ফেলবে। অন্যদিকে ছেলে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকায় বিষয়টি তাদের জন্য আরও সহজ হয়েছে। হত্যার পর বিষয়টি তাঁরা রাজনৈতিক ভাবে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাবে।
আকবর আলী বলেন, বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ নিয়ে গেলেও তাঁর কোনো কর্ণপাত করেননি। উল্টো ছেলেকে নিয়ে আসতে বলেছেন।
এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দোহা আকবর আলীর অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেননি। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেবেন।