- ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২১
- শীর্ষ খবর
- 286
নিউজ ডেস্কঃ দুই দফা দাবিপূরণের লক্ষ্যে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে টানা ৭২ ঘন্টার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে উপজেলা পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্যপরিষদ।
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন পরিবহন শ্রমিক নেতারা।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্যপরিষদের সভাপতি রাসেল আহমদ টিটু ও সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন দরছের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরমান আহমদ সুমন বলেন, উপজেলা সদর ও বাজারসহ বিভিন্ন সড়কে ব্যাটারি চালিত অবৈধ টমটম, অটোরিকশাসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচলের কারণে সড়ক নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে উপজেলার ৬ থেকে ৭ হাজার বৈধ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, লেগুনা ও ট্রাক-পিকআপ কাভার্ডভ্যান শ্রমিকেরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানীও বাড়ছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা এসব অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে লাইসেন্স ও অদক্ষ ব্যক্তিদের চালকের লাইসেন্স প্রদান করছেন। যা সম্পূন্ন বেআইনি। এসব ব্যাপারে শ্রমিক নেতারা বারবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন নিবেদন করেও কোনো ইতিবাচক সাঁড়া পাননি।
তিনি বক্তব্যে আরো বলেন, রাস্তায় গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেয়ার মালিক বিআরটিএ। কিন্তু চেয়ারম্যানরা তার ধার না ধেরে ব্যাটারিচালিত রিকশা অটোরিকশা টমটম মালিকদের লাইসেন্স দিয়ে বৈধতা দিচ্ছেন। এ কারণে প্রয়োজনের চেয়েও প্রায় দেড় হাজার অতিরিক্ত ব্যাটারিচালিত যানবাহন গোটা উপজেলার মূল সড়কসহ অন্যান্য সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এতে গ্রামীন সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যানজটে পড়ে নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান কর্মঘন্টা। ঘটছে একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনাও। একই সাথে উপজেলার ৬/৭ হাজার বৈধ পরিবহন শ্রমিকের আয়-রোজগারের পথ সংকোচিত হয়ে পড়েছে। বৈধ শ্রমিকদের মধ্যে হাহাকার ও হতাশা বাড়ছে। এসব কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাছাড়া উপজেলা সদরে কৃষিকাজে ব্যবহারের জন্য তৈরি পাওয়ার ট্রলি দিয়েও মালামাল পরিবহন করা হচ্ছে। এতে পিকআপ বা কাভার্ডভ্যান শ্রমিকেরা বেকার হওয়ার অবস্থা দেখা দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিকদের দাবি প্রসঙ্গে সুরমান আহমদ সুমন বলেন, তাদের প্রথম দাবি-যথাযত প্রশিক্ষণ ছাড়া ২ নম্বর মাইজগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ অন্যান্যরা অবৈধ ব্যাটারিচালিত যানবাহন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান বন্ধ করতে হবে এবং অবৈধ যানবাহন রাস্তা থেকে সরিয়ে নিতে হবে।
দ্বিতীয় দাবি-অভিলম্বে উপজেলায় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে পাওয়ার ট্রলি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে।
এ দুটি দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬টা থেকে টানা ৭২ ঘন্টার পরিবহন ধর্মঘট ঘোষণা করা হয়।
ধর্মঘট চলাকালীন উপজেলা সদরসহ অন্যান্য রাস্তায় পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের কোনো যানবাহন চলাচল করবে না বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান হয়। ধর্মঘটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনিত ঘটলে তার সম্পূর্ণ দায় ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের বলেও জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আব্দুল মতিন, সভাপতি রাসেল আহমদ টিটু, সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন দরছ, সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান সফিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহমদ লালু, সহসাধারণ সম্পাদক তফুর মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক খুকন মিয়া, প্রচার সম্পাদক লাল মিয়া, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আজমল আলী, শ্রমিক নেতা রিমন মিয়া, ফরিদ আলী প্রমুখ।