• ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১
  • শীর্ষ খবর
  • 321
বন্দরবাজারে মওদুদ হত্যা : অটোরিকশা চালক কারাগারে

নিউজ ডেস্কঃ সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের হামলায় অগ্রণী ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ আহমেদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি অটোরিকশাচালক নোমান হাছনুর আদালতে আত্মসমর্পণের পর কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত।

বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করলে শুনানি শেষে আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট দেলোয়ার হোসেন দিলু।

হাছনুর সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের টুকেরগাঁও পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে।

এর আগে বুধবার সকালে সিলেটে ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ আহমদ হত্যা মামলায় প্রধান আসামি নোমান হাসনুর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় আত্মসমর্পণ করে। পরে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা তাকে আটক করে আনেন শ্রমিক নেতারা। পরে তারা তাকে মহানগর হাকিম আদালত ১ সোপর্দ করেন।

উল্লেখ্য, গত শনিবার বিকালে জৈন্তাপুরের হরিপুর থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় নগরীর বন্দরবাজারে আসেন ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ আহমেদ (৩৫)। একপর্যায়ে চালক নোমান হাছনুরের (২৮) সাথে ভাড়া নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয় মওদুদের। তখন হাছনুরসহ সিএনজি অটোরিকশা চালকরা মওদুদ আহমেদকে বেধড়ক মারধর করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর পর হত্যাকাণ্ডকে সড়ক দুর্ঘটনা বলে প্রচার চালায় পরিবহন শ্রমিকরা।

নিহত মওদুদের বড়ভাই আব্দুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের টুকেরগাঁও পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে সিএনজি অটোরিকশাচালক নোমান হাছনুর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এদিকে এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে আন্দোলনে রাস্তায় নেমে আসেন তারা। সিলেটের সর্বস্তরের ব্যাংক কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ, ব্যাংক কর্মচারী ফেডারেশন, অগ্রণী ব্যাংক কর্মচারী সংসদ, সোনালী ব্যাংক, তরুণ পেশাজীবি সমিতি ও অগ্রণী ব্যাংক অফিসার্স সমিতি সিলেট এরকম কয়েকটি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে একাত্মতা পোষণ করে।

আন্দোলনকারীরা জানান, মওদুদ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত ও এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বেন না। একইসঙ্গে ব্যাংকারদের নিরাপত্তারও দাবি করেন তারা। এছাড়া সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের নৈরাজ্য চলছে এমন দাবি তুলে তারা জানান এই নৈরাজ্য ও দৌরাত্ম বন্ধ করতে হবে। নতুবা আরও অনেককে এভাবে প্রাণ দিতে হবে।