- মে ১০, ২০২১
- লিড নিউস
- 332
নিউজ ডেস্কঃ সিলেট বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত চব্বিশ ঘণ্টায় আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বিভাগে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৬৯ জনে। একই সময়ে সিলেট বিভাগে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে আরও ৭৪ জনের শরীরে। এছাড়া এই চব্বিশ ঘণ্টায় সিলেটে হাসপাতালে ও বাড়ি চিকিৎসাধীন আরও ৯৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
সোমবার (১০ মে) সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. সুলতানা রাজিয়া স্বাক্ষরিত কোভিড-১৯ কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের দৈনিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৪ জনের দেহে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়েছে। এদের নিয়ে সিলেট বিভাগে মোট করোনা প্রমাণিত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ২১ হাজার ২২৬ জনে। যাদের মধ্যে সিলেট জেলায় ১৩ হাজার ৬৯১ জন, সুনামগঞ্জে ২ হাজার ৭৫৮ জন, হবিগঞ্জ জেলায় ২ হাজার ৪২৫ জন ও মৌলভীবাজারে ২ হাজার ৩৫২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে শনাক্ত হওয়া ৭৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর ৪৮ জনই সিলেট জেলার বাসিন্দা। এছাড়া বিভাগের সুনামগঞ্জে ৫ জন, হবিগঞ্জে ৭ জন ও মৌলভীবাজার জেলায় ২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এদিন সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১২ রোগীর শরীরে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত হয়।
একইদিনে সিলেট বিভাগে নতুন করে আরও ৯৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। যাদের মধ্যে ৪০ জন সিলেট জেলার, সুনামগঞ্জের ২০ জন হবিগঞ্জে ২৬ ও মৌলভীবাজার জেলার ৮ বাসিন্দা রয়েছেন। এনিয়ে বিভাগে করোনা থেকে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা ২০ হাজার ১০ জন। যাদের মধ্যে সিলেট জেলায় ১৩ হাজার ২৪৫ জন, সুনামগঞ্জে ২ হাজার ৬৭৪ জন, হবিগঞ্জ জেলায় ১ হাজার ৮৭২ জন ও মৌলভীবাজারে ২ হাজার ২১৯ জন।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সিলেট বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে ২ জন রোগী। যাদের একজন সিলেট জেলার ও অন্যজন মৌলভীবাজার জেলার বাসিন্দা। এনিয়ে বিভাগে মৃত্যুবরণ করা মোট রোগীর সংখ্যা ৩৬৭ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলার ২৯৪ জন, সুনামগঞ্জে ২৮ জন, হবিগঞ্জে ১৮ জন এবং মৌলভীবাজারের ২৯ জন।
এদিকে সিলেটের চার জেলা মিলে ২০৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। যাদের ১৯৬ জনই সিলেট জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে, সুনামগঞ্জে ১ জন, হবিগঞ্জে ১১ জন ও ১ জন মৌলভীবাজারে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া গত চব্বিশ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে ৫১ জনকে নতুন করে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। যাদের সকলেই সিলেট জেলার বাসিন্দা।