- জুন ৯, ২০২১
 - শীর্ষ খবর
 - 361
 
			          জগন্নাথপুর প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের সৈয়দপুর গোয়ালগাঁও গ্রামে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে তার চাচা কতৃক শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৯ জুন) বিকেলে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর গোয়ালগাঁও মক্কর আলী হাজী সাবের বাড়ি গ্রামের শয়ফুল ইসলামের মেয়ে সানজিদা বেগম (১৬) মঙ্গলবার রাতে প্রতিদিনের ন্যায় রাতের খাওয়া-দাওয়া শেষে নিজ শয়নকক্ষে ঘুমাতে যায়। রাতের কোনো একসময় মেয়েটির আপন চাচা রবিউল ইসলাম (৪০) সানজিদার ঘরে প্রবেশ করে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ভোরে মেয়েটির নিথর দেহ নিজ ঘরের বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের লোকজন।
পরিবারের লোকজন জানান, শয়ফুল ইসলামের চার ভাইয়ের মধ্যে এক ভাই যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। ওই প্রবাসী নিঃসন্তান হওয়ায় মেয়েটিকে তিনি নিজের মেয়ের মতো লালন-পালন করে সংসারের ভরণ-পোষণের টাকা মেয়েটির কাছে পাঠাতেন। এ নিয়ে ভাইয়ের সাথে কিছু বিরোধ চলছিল। কিছু দিন আগে এসব নিয়ে বিরোধের জের ধরে স্ত্রী সন্তান নিয়ে তিনি শ্বশুর বাড়ি চলে যান। মঙ্গলবার বাড়ি ফিরে এ ঘটনা ঘটান মেয়েটির আপন চাচা রবিউল ইসলাম।
নিহত মাদ্রাসার ছাত্রীর বড়ভাই হাম্মদ আহমদ বলেন, আমাদের ধারনা চাচাই আমার বোনকে হত্যা করে পালিয়েছেন। তার বোন সৈয়দপুর শামসিয়া টাইটেল মহিলা মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। নিহত মাদ্রাসাছাত্রীর মা সৈয়দা ছালেহা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, রবিউল আমার মেয়েকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করেছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী জগন্নাথপুর থানার ওসি (তদন্ত) মোছলেহ উদ্দিন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ মর্গে পাঠিয়েছি।
