• জুন ১৩, ২০২১
  • শীর্ষ খবর
  • 356
রায়হান হত্যা মামলা: বরখাস্ত কনস্টেবল হারুনের জামিন নামঞ্জুর

নিউজ ডেস্কঃ সিলেটে পুলিশি হেফাজতে রায়হান আহমদ (৩৪) হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কনস্টেবল মো. হারুন অর রশিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে।

আজ রোববার দুপুরে ভার্চ্যুয়াল শুনানি শেষে তাঁর জামিন নামঞ্জুর করেন সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালত। হারুনের পক্ষের আইনজীবীরা আজ জামিন আবেদন করেছিলেন। শুনানি শেষে বিচারক মো. আবদুর রহিম এক আদেশে জামিন নামঞ্জুর করেছেন।

সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নওশাদ আহমদ চৌধুরী বলেন, অভিযোগপত্রভুক্ত ৩ নম্বর আসামি মো. হারুন অর রশিদ। জামিন আবেদনে রায়হানকে সরাসরি জড়িত না থাকা ও মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নন বলে উল্লেখ করে জামিন প্রার্থনা করেন হারুন। পিপি নওশাদ আহমদ আরও বলেন, ‘আমি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে আদালতকে বলেছি যে অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি হারুন শুধু পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগে নয়, দণ্ডবিধির ৩০২ ও ৩৪ ধারায় অভিযুক্ত। বিচারপ্রক্রিয়ায় থাকা হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিকে জামিন দেওয়া হলে বিচার বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হানকে নির্যাতন করার প্রত্যক্ষদর্শী পুলিশ সদস্যদের জবানবন্দির বিষয়টিও আদালতকে অবহিত করি। এসব যুক্তি উপস্থাপন করায় আদালত জামিন নামঞ্জুর করেছেন।’

একই আদালতে ২ জুন মামলার প্রধান আসামি বরখাস্ত হওয়া উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়ার জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়।

গত বছরের ১০ অক্টোবর মধ্যরাতে সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে রায়হান আহমদকে নির্যাতন করা হয়। ১১ অক্টোবর তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে রায়হানের স্ত্রীর করা মামলার পর মহানগর পুলিশের একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে ফাঁড়িতে নিয়ে রায়হানকে নির্যাতনের সত্যতা পায়। ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চারজনকে ১২ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। এরপর পুলিশি হেফাজত থেকে কনস্টেবল হারুনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তবে প্রধান অভিযুক্ত আকবর ১৩ অক্টোবর পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়ে ভারতে চলে যান। ৯ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৫ মে আলোচিত এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই। অভিযোগপত্রে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই (সাময়িক বরখাস্ত) আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে (৩২) প্রধান অভিযুক্ত করা হয়। অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আশেক এলাহী (৪৩), কনস্টেবল মো. হারুন অর রশিদ (৩২), টিটু চন্দ্র দাস (৩৮), ফাঁড়ির ‘টুইআইসি’ (সেকেন্ড-ইন-কমান্ড) পদে থাকা সাময়িক বরখাস্ত এসআই মো. হাসান উদ্দিন (৩২) ও এসআই আকবরের আত্মীয় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সংবাদকর্মী আবদুল্লাহ আল নোমান (৩২)।