• জুন ১৯, ২০২১
  • শীর্ষ খবর
  • 258
সিলেট-৩ আসনে উপনির্বাচন, আচরণ বিধি লঙ্ঘন

নিউজ ডেস্কঃ সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জের একাংশ) আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে প্রতীক বরাদ্দের আগেই নৌকা প্রতীক-সংবলিত ফেস্টুন-বিলবোর্ডে প্রচারণা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার দুপুরে নির্বাচনী এলাকা দক্ষিণ সুরমার একাধিক স্থান ঘুরে এর সত্যতাও পাওয়া গেছে।

স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমানকে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে দক্ষিণ সুরমার একাধিক এলাকায় ডিজিটাল রঙিন ব্যানার, বাঁশের খুঁটি ও কাঠ দিয়ে নির্মিত অস্থায়ী বিলবোর্ড সাঁটানো হয়েছে। এসব বিলবোর্ডে প্রার্থীর পাশাপাশি নৌকা প্রতীকের ছবিও আছে। সরেজমিনেও দেখা গেছে, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদ ও মোগলাবাজার থানার সম্মুখ অংশ এবং নৈখাই ও খালেরমুখ এলাকায় হাবিবুরের সমর্থনে বেশ কতগুলো বিলবোর্ড ও ফেস্টুন সাঁটানো আছে। এসব দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সামছুল ইসলাম ও দক্ষিণ সুরমা ছাত্রলীগ নেতা তোফায়েল হোসেনের সৌজন্যে সাঁটানো হয়েছে বলে উল্লেখ আছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ভোটার বলেন, স্থানীয়ভাবে আধিপত্য বিস্তার, প্রার্থীর মনোযোগ আকর্ষণ ও কাছে ঘেঁষার প্রতিযোগিতা থেকেই দলীয় কর্মীরা প্রতীক বরাদ্দ না হওয়ার আগেই বিলবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন সাঁটিয়েছেন। এ ধরনের প্রচারণা আচরণবিধির লঙ্ঘন। এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ভোটাররা আরও বলেন, প্রতীক বরাদ্দের আগেই সব প্রার্থী বিভিন্নভাবে প্রচারণায় নেমে পড়েছেন। গণসংযোগ, উঠান বৈঠক ও মতবিনিময় করছেন তাঁরা।

এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহা. ইসরাইল হোসেন  বলেন, এ ধরনের প্রচারণা স্পষ্টতই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল। প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো মাধ্যমেই প্রচারণা চালানোর সুযোগ নেই। তবে যেহেতু প্রতীক বরাদ্দের পরপরই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত করা হয়, তাই তখন থেকে অভিযান পরিচালনা করা হবে। সে সময় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো ঘটনা ঘটলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মুঠোফোনে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো ধরনের ফেস্টুন, ব্যানার কিংবা বিলবোর্ড সাঁটিয়ে কর্মী-সমর্থকেরা যেন প্রচারণা না চালান, সে বিষয়ে আমি অনুরোধ জানাচ্ছি। আমার অজান্তেই কোনো সমর্থক হয়তো প্রতীক বরাদ্দের আগেই এমনটা করেছেন। তাই সব পর্যায়ের কর্মী-সমর্থকদের আমি বিধি মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।’

আগামী ২৮ জুলাই সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ হবে। মোট ভোটার ৩ লাখ ৫২ হাজার। ভোটকেন্দ্র ১৪৯টি। ২৪ জুন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং প্রতীক বরাদ্দ হবে ২৫ জুন। প্রতীক বরাদ্দের পরই প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা চালাতে পারবেন।

গত ১১ মার্চ করোনায় সংক্রমিত হয়ে সিলেট-৩ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী মারা যান। এরপর ১৫ মার্চ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী উপনির্বাচনের জন্য ছয়জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে চারজনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। তাঁরা হচ্ছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত হাবিবুর রহমান, জাতীয় পার্টির মনোনীত আতিকুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনোনীত জুনায়েদ মুহাম্মদ মিয়া এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য শফি আহমদ চৌধুরী।