- জুলাই ৫, ২০২১
- লিড নিউস
- 270
নিউজ ডেস্কঃ সিলেটে সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণার প্রায় এক সপ্তাহ আগ থেকে বেড়েছে অক্সিজেন সিলিন্ডারের দাম। করোনায় আক্রান্তের হার বেড়ে যাওয়ায় অনেকে বেশি করে অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনে মজুত করে রাখায় দাম বেড়ে গেছে বলে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা জানিয়েছেন। তবে দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেক করোনা এবং করোনা উপসর্গ আছে, এমন রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
গতকাল রোববার সিলেট চিকিৎসা সরঞ্জাম বিক্রয়কারী কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিলেটে বর্তমানে ১ হাজার ৪০০ লিটার ওজনের অক্সিজেন সিলিন্ডার ও এর আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম কিনতে ১৫ হাজার টাকা লাগছে। অথচ এক সপ্তাহ আগেও একই ওজনের অক্সিজেন সিলিন্ডার, ফ্লো মিটার, ট্রলি, ক্যানুলাসহ ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করা হতো। সারা দেশে কঠোর লকডাউন জারি হওয়ার পর কয়েক দিন আগ থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডারের দাম বাড়তে থাকে। তবে যাদের পুরোনো সিলিন্ডার রয়েছে, সেগুলোতে অক্সিজেন রিফিল করতে ৩০০ টাকা লাগছে। আগেও সিলিন্ডারে অক্সিজেন রিফিল করতে ৩০০ টাকা লাগত।
গতকাল দুপুরে নগরের চৌহাট্টা এলাকার মেডিম্যাক্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে মোটরসাইকেলে বাঁধছিলেন সিলেট শহরতলির টিলারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা আবিদ আহমদ। তিনি বলেন, তাঁর বাবা আবদুল মালিকের (৮০) শ্বাসকষ্ট। চিকিৎসকের পরামর্শে প্রায় এক বছর ধরে তাঁর বাবাকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘ঘরে এক সিলিন্ডার অক্সিজেন রয়েছে। এখন নতুন করে একটি সিলিন্ডার নিয়ে যাচ্ছি। শুনছি অক্সিজেনের দাম বাড়ছে। পরে পাওয়া যাবে কি না, সেটি নিয়েও সংশয় রয়েছে। তবে দুটি সিলিন্ডার থাকায় একটি রিফিল করে ব্যবহার করা যাবে।’
চৌহাট্টা এলাকায় চিকিৎসা সরঞ্জাম বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হুরুন আহমদ বলেন, ‘লকডাউন ঘোষণার কয়েক দিন আগেই অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং সরঞ্জামের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সিলিন্ডারের সংকট রয়েছে বলে আমাদের জানিয়েছেন। আমরা এখন চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া সিলিন্ডার বিক্রি করছি না।’
এ বিষয়ে সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন জন্মেজয় দত্ত জানান, আতঙ্কিত হয়ে অক্সিজেন ক্রয় করে বাড়িতে রাখলে বাজারে এর প্রভাব পড়বে। যাঁদের চিকিৎসায় অক্সিজেনের প্রয়োজন রয়েছে, তাঁরা সংকটে পড়বেন। এ জন্য যাঁরা অক্সিজেন বিক্রি করছেন, তাঁদের চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এসব পণ্য বিক্রি না করার আহ্বান জানান তিনি।