- জুলাই ২৯, ২০২১
- শীর্ষ খবর
- 346
নিউজ ডেস্কঃ সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লন্ডনযাত্রী এক নারীকে হয়রানীর অভিযোগ ওঠেছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তাদের হয়রানীর কারণে নির্ধারিত ফ্লাইটে লন্ডনে যেতে না পারার অভিযোগ করেছেন জামিলা চৌধুরী নামের ওই যাত্রী।
তবে বিমানের কর্মকর্তারা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ওই যাত্রী তার অতিরিক্ত ওজনের লাগেজের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় তাকে রেখে ফ্লাইট লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে।
সিলেটের খাদিমনগরের বাসিন্দা যুক্তরাজ্য প্রবাসী জামিলা চৌধুরী জানান, বাবার অসুস্থতার খবর পেয়ে তিনি লন্ডনে সন্তানদের রেখে জরুরিভিত্তিতে দেশে এসেছিলেন। মঙ্গলবার তার ফেরার কথা ছিল। যথারীতি তিনি সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
এরপর চেক-ইনের সময় বিমান কর্তৃপক্ষ জানান, তার তিনটি লাগেজের ওজন নির্ধারিত ওজনের চেয়ে বেশি। বাড়তি ওজনের জন্য তার কাছে টাকা চান বিমানের কর্মকর্তারা। অনেক অনুরোধের পরও তারা লাগেজগুলো ছাড়তে না চাইলে তিনি একপর্যায়ে শুধুমাত্র একটি লাগেজ নিয়ে যেতে সম্মত হন। কিন্তু এরপরও বিমানের কর্মকর্তারা তাকে বোডিং পাস দেননি।
অনেক অনুনয়-বিনয় করার পরও কর্মকর্তাদের মন গলেনি। তারা টাকা না পেয়ে হয়রানি করেন এবং একপর্যায়ে তাকে বিমানবন্দরে রেখেই ফ্লাইটটি লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।
জামিলা চৌধুরী বলেন, লন্ডনে যাওয়ার পর কোয়ারেন্টিনের জন্য তার হোটেল বুকিং দেয়া ছিল। কিন্তু নির্ধারিত ফ্লাইটে যেতে না পেরে তিনি মানসিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।
তবে জামিলা চৌধুরীর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্টেশন ম্যানেজার চৌধুরী ওমর হায়াত।
তিনি বলেন, ওই যাত্রীর সাথে নির্ধারিত ওজনের চেয়ে ৪৪ কেজি মালামাল বেশি ছিল। প্রতি কেজি ২ হাজার ৬১১ টাকা হিসেবে এক লাখ টাকার উপরে পরিশোধ করার কথা। কিন্তু যাত্রী কোনভাবেই ওভার ওয়েটের মূল্য পরিশোধ করতে রাজি হননি।
ওমর হায়াত জানান, নির্ধারিত সময়ের একঘন্টা আগে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের দরজা বন্ধ করতে হয়। কিন্তু ওই যাত্রী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তার লাগেজের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। তাই তাকে রেখেই বিমান ছাড়তে হয়েছে। লাগেজ ছাড়া ওই যাত্রীর ডকুমেন্টেও কিছু সমস্যা ছিল বলে জানান বিমানের ওই কর্মকর্তা।