- সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১
- রাজনীতি
- 455
নিউজ ডেস্কঃ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, করোনার কারণে নয়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছিল সরকার। সে জন্য এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলে নজরদারিতে রাখার কথা বলছে, সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর কথা বলছে।
শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নিশতার আহমদ রাখীর স্মরণে এই শোকসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ন্যাশনালিস্ট এক্স স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (রুনেসা)।
রুনেসার সভাপতি অধ্যক্ষ বাহাউদ্দিন বাহারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মল্লিক মো. মোকাম্মেল কবীরের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির রংপুর বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব মো. আবদুর রহিম, ওলামা দলের আহ্বায়ক শাহ মো. নেছারুল হক, রুনেসার নেতা মাহবুবুর রহমান ফরহাদ প্রমুখ।
ছাত্রদলের সাবেক নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত, বর্তমান যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব মিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের রাজু আহমেদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শতাধিক নেতাকর্মী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সঞ্চয়পত্রে সুদহার কমানো প্রসঙ্গে রুহুল কবির রিজভী বলেন, এর মাধ্যমে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষকে আরো চাপে রাখলো সরকার। অর্থমন্ত্রী সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমিয়ে দিয়েছেন। এর মানে হলো গরিবরা মরুক। তাদের দিকে কোনো নজর নেই।
প্রধানমন্ত্রীর নিউইয়র্ক সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের মানুষ ক্ষুধার জন্য হাহাকার করছে, আর আপনি ১৪১ জন আত্মীয়-স্বজন ও দলের লোক নিয়ে গেছেন ফিনল্যান্ড ও আমেরিকা!
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, আজকে পৌনে দুই বছর পর বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হচ্ছে। বলা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নজরদারিতে থাকবে। সিসিটিভি বসাবে। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নির্দেশনা দিচ্ছে। তাহলে প্রমাণিত হয় যে, ইচ্ছা করেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছে সরকার। এ কারণেই নজরদারিতে রাখার কথা বলছে। আসলে করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়নি। এখন বোঝা যাচ্ছে যে, এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যেন শিক্ষার্থীরা বর্তমান অবৈধ সরকারের দুঃশাসন ও অন্যায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে না পারে।
মরহুম নিশতার আহমেদ রাখীর স্মৃতিচারণ করে রিজভী বলেন, রাখী ছিলেন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ও অমায়িক ব্যবহারের মানুষ। তার আচরণে কেউ মুগ্ধ না হয়ে পারেনি। চরিত্রবান ও সৎ ছাত্রনেতা হিসেবে তার পরিচিতি রয়েছে। পেশাদার হিসেবে নিষ্ঠাবান। তার মৃত্যুতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হলো তা সহজে পূরণ হবে না। তার সুন্দর ব্যবহার আমাদের তাড়িত করে। তার মতো শিষ্টাচারসম্পন্ন মানুষ আমাদের সমাজে কম।