- সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১
- শীর্ষ খবর
- 254
নিউজ ডেস্কঃ ছয়টি সাদা বক রশি দিয়ে বেঁধে ক্রেতার অপেক্ষা করছিলেন এক বিক্রেতা। রাতের বেলা এই দৃশ্য দেখে একজন খবর দেন পরিবেশকর্মীদের। তখন ক্রেতার বেশে হাজির হয়ে দরদাম করে বিক্রেতাকে আটকে রাখেন তাঁরা। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে বিক্রেতার কাছ থেকে মুচলেকা নেন। তাঁর হাত দিয়েই চা-বাগানে অবমুক্ত করা হয় বকগুলো।
গতকাল সোমবার রাত প্রায় সাড়ে ১০টায় সিলেট নগরীর ব্যস্ততম মদিনা মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে বালাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আবদুর করিম চৌধুরী ওই বক বিক্রেতাকে আটক করেন। পরে নগরীর জালালাবাদ থানা–পুলিশের একটি দল সেখানে উপস্থিত হলে বিক্রেতা সরাফত আলী আর বক বিক্রি করবেন না বলে মুচলেকা দেন। এরপর তাঁর হাত দিয়ে পার্শ্ববর্তী তারাপুর চা-বাগানেরে পুকুরে অবমুক্ত করা হয় ছয়টি বক।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা গেছে, ধরপাকড় এড়াতে দিনের চেয়ে রাতেই সিলেট নগরীর বিভিন্ন মোড় ও হাটে পাখি কেনাবেচা হয়। ছয়টি বকের দাম হাঁকা হয়েছিল ১ হাজার ৬০০ টাকা। সরাফত আলী নামের ওই বক বিক্রেতা জানান, তিনি মোরগ বিক্রেতাদের মাধ্যমে শিকারিদের কাছ থেকে ছয়টি বক কিনে বিক্রির জন্য মদিনা মার্কেট এলাকার হাটে বসেছিলেন। দিনের চেয়ে রাতে কেনাবেচায় দাম পাওয়া যায় জানিয়ে ওই বিক্রেতার ভাষ্য, বক শিকার ও কেনাবেচা নিষিদ্ধ এ বিষয়টি তিনি জানতেন না।
বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পদক আবদুল করিম চৌধুরী বলেন, শীত আসার আগে পাখি শিকার ও কেনাবেচা সিলেট নগরীতে চলে। খবর পেলে বন বিভাগ কিংবা পুলিশকে নিয়ে তাঁরা পদক্ষেপ নেন। এ অবস্থায় নগরীতে দিনের বেলা পাখির কেনাবেচা অনেকটা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। তবে রাতের সুযোগে এ রকম কেনাবেচার ঘটনাটি প্রথম দেখা গেল। এ ব্যাপারে পুলিশসহ বন বিভাগকে তাৎক্ষণিক অবহিত করা হয়েছে।