- অক্টোবর ২৯, ২০২১
- জাতীয়
- 315
নিউজ ডেস্কঃ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা, পাতি নেতাদের দৌরাত্মে এখন আর কেউ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি আরও বলেছেন, শরীয়তপুরের এমপি বলছেন, আমি ঠিক করে দেবো কে চেয়ারম্যান হবে আর কে মেম্বার হবে। অন্য কেউ দাঁড়াতে পারবে না! আমরা চিন্তাই করতে পারি না। ১৯৭১ সালে আমরা যে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছিলাম, সেই গণতন্ত্রকে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিয়ে তারা এখন একটা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা, বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছে। এরা ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না। কারও সমালোচনা সহ্য করতে পারে না। সহনশীলতা বলতে তাদের কিছুই নেই।
শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ধ্বংসের প্রতিবাদে আমরা একটা আলোচনা সভা করেছিলাম, আমাদের অফিসের সামনে। তারপর সবার শেষে আমাদের ছেলেরা যখন ফিরে যাচ্ছিল, তখন তাদের পেছন থেকে আক্রমণ করে। টিয়ার শেল মেরে, গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে। আহত করা হয়েছে প্রায় পঞ্চাশের বেশি মানুষকে। উল্টো তারা আবার মামলা দিয়েছে ১৬০০ মানুষের বিরুদ্ধে। এত ভয় পায় কেন? ভয় পাই এ জন্য যে, তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। জনগণ যেদিন বের হবে রাজপথে সেদিন আপনারা পালাবার পথ খুঁজে পাবে না।
পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আপনারা এদেশের সন্তান। আপনারা মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান করবেন না। আপনারা দুর্নীতি পরায়ন ও নির্যাতনকারী। রাষ্ট্রের একটা দলের সঙ্গে মিশে আপনারা জনগণের উপর এভাবে নির্যাতন করবেন না। আর এই সরকার আজ রাষ্ট্রের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। জনগণের পকেট কেটে আওয়ামী লীগ নিজেদের পকেট ভারি করছে।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা সংগঠিত হন। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা যেন একটি দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে পারি। আমরা অবশ্যই নির্বাচন চাই, তবে সে নির্বাচন হতে হবে একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে।
মির্জা ফখরুল বলেন, যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমাতে হবে।