- নভেম্বর ১, ২০২১
- মৌলভীবাজার
- 451
মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় একটি মাইক্রোবাস জব্দ ও এর চালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। নিহত নাজমুল হাসান (৩৪) উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের চৈত্রঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি।
আটক মাইক্রোবাসচালকের নাম আমির হোসেন (৪০)। গতকাল রোববার হত্যার ঘটনার পর রাতেই তাঁকে আটক করে পুলিশ। ওই দিন দুপুরে চৈত্রঘাটে নিজ বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় মাইক্রোবাস নিয়ে এসে দুর্বৃত্তরা নাজমুলকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। সিলেট উইমেনস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যার দিকে মারা যান নাজমুল।
আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে এক স্বজন ফেসবুকে লাইভে এলে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া রাসেল, মাসুদ, তফজ্জুল ও তোফায়েল নামের চারজনের নাম উল্লেখ করেন নাজমুল। হত্যার ঘটনায় আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত মামলা হয়নি।
তবে কমলগঞ্জ থানা-পুলিশ জানিয়েছে, ওই চারজনকে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে। থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা সোমবার দুপুরে বলেন, হত্যাকাণ্ডের সময় আনা মাইক্রোবাসটি ভাড়া করা হয়েছিল। আটক চালক জানিয়েছেন, হত্যাকারীরা ঘটনাস্থলে নামার পর তাঁকে পাশে কোথাও থেকে চা খেতে বলেছিলেন। এর কিছুক্ষণ পর তিনি দেখেন, মাইক্রোবাসের যাত্রীরা একজনকে কোপাচ্ছেন। এরপর তিনি খালি মাইক্রোবাস নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যান।
সোহেল রানা আরও বলেন, চৈত্রঘাট বাজারটি সিসিটিভি টিভির আওতাভুক্ত। তাই তদন্তের জন্য ফুটেজ দেখা হবে। আর ময়নাতদন্ত শেষে লাশ দাফনের জন্য নিহত ব্যক্তির পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে চৈত্রঘাটের স্থানীয় কয়েকজন জানিয়েছেন, ধলাই নদের বালুমহাল ও বাজারের দোকান নিয়ে এলাকাটি দুটি দলে বিভক্ত। বালুমহাল দখল নিয়ে গত দেড় মাসে রহিমপুর ইউনিয়নে এ দুটি পক্ষের মধ্যে তিনবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও থানায় মামলা হয়েছে। এসবের বিরোধের জেরেই হয়তো ব্যবসায়ী নেতা নাজমুল হাসানকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।