- অক্টোবর ১৩, ২০১৮
- সিলেট
- 742
বিশ্বনাথ প্রতিনিধিঃ সিলেটের বিশ্বনাথে প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় আমিনা বেগম (২০) নামের এক তরুণীর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। তিনি বিশ্বনাথের
মান্দারুকা গ্রামের হাজী লয়লুছ মিয়ার মেয়ে ।
বুধবার (১০ অক্টোবর) রাতে নিজ বাড়িতে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় শুক্রবার (১২অক্টোবর) লয়লুছ মিয়া বাদি হয়ে আমিনার প্রেমিক মোহা. মিছবা আহমদকে প্রধান আসামী করে তাঁর আরও তিন ভাইয়ের নামে হত্যা
ও ধর্ষণের অভিযোগে এনে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার অন্য আসামীরা হলেন মোহা. মিছবার ভাই আবুল কালাম, আব্দুল আলীম ও আব্দুল মালেক।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোহা. মিছবার সঙ্গে আমিনা বেগমের বেশ কিছুদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি লয়লুছ মিয়ার পরিবার সেটি জানতে পেরে
আমিনা বেগমের অন্যত্র বিয়ে ঠিক করেন। তবে এতে রাজি ছিলেন না আমিনা বেগম। এক পর্যায়ে গত ৬ অক্টোবর ভোরে মোহা. মিছবার সঙ্গে পালিয়ে যান
আমিনা বেগম। এর তিন দিন পর গত ১০ অক্টোবর ভোরে আমিনা বেগমকে মিছবার খালার বাড়ি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে
নিয়ে ধরে আনেন লয়লুছ মিয়া ও তার ছেলে। ওই দিন সন্ধ্যায় লয়লুছ মিয়া মিছবার খোঁজে তার বাড়িতে যান। এসময় তাঁকে না পেয়ে মিছবার বাবা, মা, ভাই
ও বোনদের মারধরও করেন। এসময় মিছবার চাচা সাহিদ আলী বাধা দিলে লয়লুছ মিয়া ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন তাঁকে ছুরিকাঘাত করে। এতে তিনি
ঘটনাস্থলেই মারা যান।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দোহা জানান, নিহত তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা
কথিত প্রেমিক মোহা. মিছবাসহ তিনজনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ততের গ্রেপ্তার করতে আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি।