- ডিসেম্বর ১৪, ২০২১
- শীর্ষ খবর
- 313
হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জে যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক সুদীপ্ত দাশ এ রায় দেন। এ মামলায় অন্য দুই আসামিকে খালাস দেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তির নাম সৈয়দ হেলাল মিয়া (২৮)। তিনি হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার লাকড়িপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সৈয়দ হেলাল মিয়ার সঙ্গে একই উপজেলার বড়গাঁও গ্রামের লাভলী আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে হেলাল মিয়া এক লাখ টাকা যৌতুকের জন্য তাঁর স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করে আসছিলেন। ওই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর হেলাল যৌতুকের জন্য তাঁর স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করলে লাভলী আক্তার গুরুতর আহত হন। পরে ওই দিন রাতে আহত অবস্থায় লাভলী আক্তারকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরদিন ২৪ অক্টোবর নিহতের বড় ভাই শাহীন চৌধুরী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে হত্যা মামলা করেন। মামলায় সৈয়দ হেলাল মিয়া, নিহতের শ্বাশুড়ি সৈয়দা সাহেদা খাতুন ও আত্মীয় তাজুল ইসলামসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ১৭ জুলাই হেলাল মিয়া, সাহেদা খাতুন ও তাজুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। মামলার ২৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ দুপুরে প্রধান আসামি হেলাল মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।
জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি আবুল হাসেম মোল্লা মাসুম বলেন, আসামির উপস্থিতিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। তবে অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় মামলার অন্য দুই আসামি সাহেদা খাতুন ও তাজুল ইসলামকে আদালত অব্যাহতি দিয়েছেন। রায় ঘোষণার পরই হেলাল মিয়াকে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।