- ডিসেম্বর ১৫, ২০২১
- শীর্ষ খবর
- 357
নিউজ ডেস্কঃ সিলেটে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানসহ দুজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আদালতে মামলার আবেদন খারিজ করেছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ওই আবেদন খারিজ করে দেন সিলেট সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবুল কাশেম।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাতনি সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে গত রোববার মামলা নেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সিলেটের সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর আখতার খান। আজ বুধবার মামলার আদেশের তারিখ ছিল।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার তানভীর আখতার খান বাদী হয়ে সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান ও টক শোর উপস্থাপক মহিউদ্দিন হেলালের নামে মামলার আবেদন করেন। বাদী উল্লেখ করেন, বেগম খালেদা জিয়ার নাতনি ও তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমান লন্ডনে আইন পেশায় নিয়োজিত। ১ ডিসেম্বর মুরাদ হাসান ও উপস্থাপক মহিউদ্দিন হেলাল ভার্চ্যুয়াল একটি টক শোতে বিএনপির চেয়ারপারসন জাইমা রহমান সম্পর্কে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ, অশালীন, নারীবিদ্বেষী ও মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন। অনুষ্ঠানের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রচার করা হয়। জিয়া পরিবার ও তাঁর নাতনি জাইমা রহমানকে অপমান-অপদস্থ ও হেয়প্রতিপন্ন করতেই ভিডিওটি আসামিরা ছড়িয়ে দিয়েছেন।
আদালতে মামলার আবেদনটি আজ আদেশের তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন। আজ দুপুর ১২টার দিকে মামলার আবেদন খারিজ করেন সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবুল কাশেম।
এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন মামলার বাদী তানভীর আখতার খান ও তাঁর পক্ষের আইনজীবী আহমেদ ওবায়দুর রহমান। মামলাটি খারিজ করার বিষয়ে আহমেদ ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘সাইবার পিটিশন মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন আদালতের বিচারক। আদেশের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।’
নারীর প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ, অশালীন ও অবমাননাকর বক্তব্যের জেরে সম্প্রতি তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ হারান সরকারদলীয় সাংসদ মুরাদ হাসান। মন্ত্রিত্ব ও দলীয় পদ হারানোর পর দেশ ছেড়ে কানাডায় যেতে চেয়েছিলেন মুরাদ হাসান। কিন্তু কানাডায় ঢুকতে ব্যর্থ হয়ে তিনি গত রোববার দেশে ফিরেছেন।