- ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
- জাতীয়
- 406
নিউজ ডেস্কঃ নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য নাম প্রস্তাব করতে সার্চ কমিটিকে বর্ধিত সময়েও নাম দেয়নি বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলো।
ফলে আগামী জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা করতে যাওয়া নির্বাচন কমিশনকে বিএনপি ও সমমনাদের বিরোধিতার মুখে পড়তে যাওয়ার বিষয়টি আরও নিশ্চিত হয়ে গেল।
কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন সোমবার মেয়াদ শেষ করলেও পরবর্তী কমিশনে কারা আসছেন, সেটি নিশ্চিত করা যায়নি।
নির্বাচন কমিশন আইন করে তার মাধ্যমে সার্চ কমিটি গঠন করার পর সেই কমিটি ১১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিভিন্ন দল, সংগঠন, বিশিষ্টজনদের কাছে নাম চায়। কেউ নিজের নাম প্রস্তাব করতে পারবেন বলেও জানানো হয়।
নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির আগের দুটি সংলাপে যোগ দিলেও বিএনপি এবার এই সংলাপ যেমন বর্জন করেছে, তেমনি সার্চ কমিটির সঙ্গে কোনো রকম যোগাযোগ না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা কোনো নাম প্রস্তাব করেনি এই কমিটির কাছে।
হাতে তিন শতাধিক নাম নিয়ে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে সার্চ কমিটির প্রথম দিনের সভায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী অনুরোধ করেন, কমিটি যেন বিএনপির কাছে আবার নাম চায়।
পরের দিন সার্চ কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, যেসব দল নাম দেয়নি, তারা সোমবার বিকেল ৫টার মধ্যে নাম প্রস্তাব করতে পারবে।
তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘সার্চ কমিটির মেয়াদ আরও পাঁচ দিন বাড়ালেও আমরা সেটাতে যাব না।’
বিএনপি নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের পুরোনো দাবিতে ফিরে গেছে। এই দাবিতে আন্দোলনে যাওয়ার কথাও তারা বলছে, যদিও এর আগে দুই দফা আন্দালনে নেমে খালি হাতে ঘরে ফিরেছে তারা।
দলটির দাবি, বর্তমান সরকারকে ভোটের আগে সরে যেতে হবে। এরপর নির্দলীয় সরকার এসে নির্বাচন কমিশন গঠন করবে, সেই কমিশনই ভোটের আয়োজন করবে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আন্দোলনের মুখে এসব কমিটি (সার্চ কমিটি) কিছু না। আমরা আমাদের হাইকমান্ডের নির্দেশ মোতাবেক যাচ্ছি। ডেস্টিনেশন সামনেই।’
বিএনপির মতোই রাষ্ট্রপতির সংলাপ ও সার্চ কমিটিতে আগে নাম না দেয়া জোট শরিক কল্যাণ পার্টিও বর্ধিত সময়ে নাম দেয়নি।
দলের সভাপতি সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম বলেন, ‘জোট থাকা বা না থাকা সেই নিয়ে কোনো আলাপ নেই। মূল বিষয় হলো, সার্চ কমিটি। সেই কমিটিতে আমরা যাচ্ছি না। আর বেশি কিছু বলতে পারছি না।’
বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ না হলেও একই পথের পথিক চরমোনাইয়ের পিরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলনও।
দলটির প্রচার সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘আমরা সার্চ কমিটিকে কোনো নাম দিইনি। কারণ আমরা এই সার্চ কমিটি মানি না। যেহেতু মানি না তাই আমরা নাম দেব না।’
নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানাচ্ছে দলটি।
বিশিষ্টজনদের সঙ্গে তিনটি এবং নিজেদের মধ্যে দুটি বৈঠক করা সার্চ কমিটি পরবর্তী বৈঠকে বসতে যাচ্ছে মঙ্গলবার। কমিটির কাছে এরই মধ্যে জমা পড়া তিন শতাধিক নাম প্রকাশ করার কথাও জানানো হয়েছে।
এই কমিটি রাষ্ট্রপতির কাছে ১০টি নাম প্রস্তাব করতে চায়। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই প্রস্তাব চূড়ান্ত করতে বলা হয়েছে।