- মার্চ ৭, ২০২২
- জাতীয়
- 389
নিউজ ডেস্কঃ তথ্যমন্ত্রী মানুষের দারিদ্র্য নিয়ে আর সিইসি জনগণের ভোট নিয়ে উপহাস করছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার (৭ মার্চ) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৬তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম ও বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বিরোধীদলকে মাঠ ধরে রাখতে হবে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ইয়াকুবের বেটা বেকুব এই সিইসি। বিরোধীদল মাঠ ধরে থাকবে কীভাবে? মাঠ তো সমান থাকবে, স্বচ্ছ থাকবে—সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকার এবং তার নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু এই লুটেরা, ডাকাত সরকারের আমলে কি মাঠ সমান থাকবে? সেটা কি আপনি জানেন না? তথ্যমন্ত্রী মানুষের দারিদ্র্য নিয়ে আর সিইসি জনগণের ভোট নিয়ে উপহাস করছেন। সিইসি বিরোধীদলকে উস্কানি দিচ্ছেন যে, তোমরাও সন্ত্রাস করো।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, আপনি তো বিনাভোটের মন্ত্রী। আপনি তো গ্রামে যান না। আপনি তো হাটবাজারে যান না। আপনি তো রেললাইনের ধারে যান না। আপনি প্লেনে, প্লেনে উড়ে বেড়ান। দামি গাড়িতে করে বাড়ি যান। কড়াইল বস্তিতে তারাবানু কীভাবে জীবনযাপন করছে সেটি আপনার চোখে পড়ে না। আপনি মানুষের দারিদ্র নিয়ে উপহাস করছেন।
সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আপনি ফ্লাইওভার দেখান, উড়াল সেতু দেখান দেখান, আপনি মেট্রোরেল দেখান, এটা তো অতীতেও স্বৈরশাসকরা দেখিয়েছেন। এটা মিশরও দেখিয়েছে। তারপর কী দেখলাম—নিরন্ন মানুষ যাদের জন্য হাসপাতাল নাই, স্কুল নাই। এভাবে লুটপাটের রাজত্ব হয় স্বৈরশাসকদের আমলে। যেটার প্রতিফলন আমরা দেখতে পাচ্ছি শেখ হাসিনার আমলে।
১/১১ এর প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, জুন মাসে শেখ হাসিনা গ্রেফতার হলেন, আমি ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) টেলিফোন করলাম—ম্যাডাম আমি কি স্টেটমেন্ট দেবো? তিনি বললেন—অবশ্যই দাও। তার পরে আমি দিলাম। পরে দেখি গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, হান্নান শাহ তারাও স্টেটমেন্ট দিলেন। অথচ আওয়ামী লীগের লোকেরাও তখন স্টেটমেন্ট দেয়নি শেখ হাসিনার মুক্তির জন্য। আর শেখ হাসিনা তার প্রতিদান দিয়েছেন দেশের একজন অবিসংবাদিত নেত্রীকে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি করে। আজও তিনি মুক্ত নন। এখন তিনি নানাভাবে খালেদা জিয়াকে নির্যাতন করছেন। এটাই হচ্ছে পার্থক্য।
বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন, নির্বাহী কমিটির সদস্য জহির উদ্দীন স্বপন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম সরোয়ার, সহ-দফতর সম্পাদক নাজমুল হাসান, ছাত্রদলের সাবেক নেত্রী আরিফা সুলতানা রুমা বক্তব্য দেন।