- মার্চ ২৭, ২০২২
- জাতীয়
- 253
নিউজ ডেস্কঃ তিন বছর পর বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে আগামী মে অর্থাৎ ঈদের পরপরই শুরু করা হবে এই কার্যক্রম।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালানাগাদ নিয়ে এতো দিন বরাদ্দ ছিল না। এখন সেই সমস্যা দূর হওয়ায় কার্যক্রমটি হাতে নেওয়া হচ্ছে। দেশের নাগরিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে আইনে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বছর বছর ধারাবাহিকভাবে কাজটি করতে পারেনি সংস্থাটি।
এছাড়া ভোটার হতে ভোগান্তির শেষ নেই। জন্ম নিবন্ধন সনদ, স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি প্রত্যয়নপত্র পেতে ব্যাপক সমস্যা সম্মুখীন হতে হয় নাগরিকদের। আবার স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসেবে বাড়ি, জমির দলিলসহ নানা প্রমাণাদি জমা দিলেও মাসের পর মাস ঝুলে থাকে আবেদন। আর এই সমস্যা দূর করার জন্যও বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
আগামী ২ অথবা ৩ এপ্রিল থেকে শুরু থেকে পারে রমজান মাস। ঈদ হবে মে মাসের ২ তারিখে দিকে। এরপরই পুরোদমে প্রক্রিয়া হাতে নেবে ইসি।
ইসি অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, আগামী ২০ মে থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যারা জন্মগ্রহণ করেছে, তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। পরে একটি নির্দিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের ফটো, ১০ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি দিয়ে ভোটার নিবন্ধন কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
২০২১ সালের ২ মার্চ দেশের ভোটার সংখ্যা ছিল ১১ কোটি ১৭ লাখ ২০ হাজার ৬৬৯ জন। আর চলতি বছরের ১ মার্চ পর্যন্ত ইসির সার্ভারে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৭১ হাজার ১০০ জন। সেই হিসাবে এখন ইসির সার্ভারে ১১ কোটি ৩২ লাখ ৯১ হাজার ৭৬৯ জন ভোটার রয়েছে। তবে, এদের মধ্যে আঙ্গুলের ছাপ পাওয়া যায়নি ৩৩ হাজার ৪১৮ জনের।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসির সার্ভারে সংরক্ষিত তথ্যের মধ্যে নারী ভোটার ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৯৮ হাজার ২৯৬ জন। আর পুরুষ ভোটার ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৯৩ হাজার ১৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার ৪৫৪ জন।
সবচেয়ে বেশি তথ্য রয়েছে ঢাকা অঞ্চলের। এ অঞ্চলের মোট এক কোটি ৬৮ লাখ ৯১ হাজার ৫৫৭ জনের তথ্য রয়েছে ইসির কাছে। সবচেয়ে কম রয়েছে ফরিদপুর অঞ্চলে, ৫৩ লাখ ৯১ হাজার ২০৯ জন।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৭ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের কাজ হাতে নেয় নির্বাচন কমিশন। এরপর ২০০৯, ২০১২, ২০১৪, ২০১৫, ২০১৭ এবং ২০১৯ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য হালনাগাদ করা হয়। ভোটারদের তথ্যগুলো ইসির সার্ভারে সংরক্ষিত রয়েছে। আর সেখান থেকে নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে।