- এপ্রিল ৫, ২০২২
- লিড নিউস
- 240
নিউজ ডেস্কঃ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদারের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা মানববন্ধন করেছেন।
মঙ্গলবার ৫ এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনসংলগ্ন রাস্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের উদ্যোগে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গাড়িসংক্রান্ত একটি বিষয়ে উত্তেজিত হয়ে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র–পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক মো. মোস্তফা সামছুজ্জামান ও পরিবহন শাখার পরিচালক সুমন পালকে অশালীন ভাষায় গালি দিয়েছেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক লজ্জিত ও বিব্রতবোধ করছেন।
আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসাইন। মানববন্ধনে শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক মো. জামাল উদ্দিন ভূইঞা, গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. মোশাররফ হোসাইন সরকার প্রমুখ বক্তব্য দেন। অশালীন আচরণের শিকার দুই অধ্যাপক মো. মোস্তফা সামছুজ্জামান ও সুমন পালও কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন।
মানববন্ধনে মোস্তফা সামছুজ্জামান ও সুমন পাল অভিযোগ করে বলেন, উপাচার্য যে ধরনের ভাষা ব্যবহার করে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন, এটা খুবই অপমানজনক। ‘তুই’ সম্বোধন করে কথা বলার পাশাপাশি মা-বাবাকেও কটাক্ষ করে উপাচার্য কথা বলেছেন। পরে বিষয়টি তাঁরা অন্য শিক্ষকদের জানিয়েছেন। এ অবস্থায় তাঁরা দায়িত্বশীল পদে থেকে বর্তমান উপাচার্যের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. বদরুল ইসলাম সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গাড়ি বরাদ্দ নিয়ে ময়মনসিংহ যান। ফেরার পথে গাড়িটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুর্ঘটনার বিষয়টি সংশ্লিষ্টরা অবহিত না করার কারণে উপাচার্য গত রোববার রাতে মোস্তফা সামছুজ্জামান ও সুমন পালকে মুঠোফোনে কল দিয়ে দিয়ে অশালীন ভাষায় কথা বলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানতে চাইলে উপাচার্য মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িটি দুর্ঘটনার শিকার হলেও বিষয়টি আমার কাছে গোপন রেখে মেরামত করতে দেওয়া হয়। ঘটনার তিন দিন অতিবাহিত হলেও আমাকে জানানো হয়নি। পরে অন্য মারফত খবর পেয়ে দায়িত্বরত দুই শিক্ষকের সঙ্গে আমি কথা বলি। বিষয়টি গোপন রাখায় তাঁদের সঙ্গে কিছুটা রাগ করে কথা বলি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান হিসেবে এ বিষয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসা করার অধিকার আমার আছে। অথচ এখন বিষয়টিকে অন্যদিকে মোড় দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’