- এপ্রিল ২০, ২০২২
- লিড নিউস
- 291
হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ও তিনটি বাঁধ ভেঙে গদকাল বুধবার হবিগঞ্জের হাওরাঞ্চলের আরও ১০০ হেক্টর জমির আধা পাকা বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। হাওরে এখন চলছে ফসল তোলার প্রাণপণ চেষ্টা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দাবি, এ পর্যন্ত ডুবন্ত ৫০০ হেক্টরের জমির মধ্যে প্রায় ২০০ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। স্থানীয় কৃষকেরা পানির ঢলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ধান কাটা শুরু করেছেন। কৃষি কার্যালয় ধান কাটার যন্ত্র দিয়ে কৃষকদের সহযোগিতা করছে।
জেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, লাখাই উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ১১ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। এসব জমির অর্ধেক ধান এখনো পাকেনি। তিন দিন ধরে ভাটির পানি কালনী ও মেঘনা নদী হয়ে হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার হাওরগুলোতে ঢুকছে। পাশাপাশি আজ বুধবার সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। এ বৃষ্টির কারণে উপজেলার কামালপুরের কেচকি-জাল্লাবাদ বাঁধ, চুয়ারিবিল ও শতমুখা বিলের বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বুধবার লাখাই উপজেলার বিভিন্ন হাওরের আরও ১০০ হেক্টর জমির আধা পাকা ধান তলিয়ে গেছে। এর আগে ৫০০ হেক্টর জমির ধান তলিয়ে যায়। সব মিলিয়ে টাকার অঙ্কে এ পর্যন্ত ৮-৯ কোটি টাকার ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
লাখাই উপজেলার কামাল গ্রামের কৃষক আয়াত আলী বলেন, দুই দিন ধরে উজানের পানি হাওরে ঢুকছিল। বুধবার সকাল থেকে বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে সরকারি অনুদানে তৈরি কেচকি জাল্লাবাদের বাঁধটি ভেঙে যায়। বাঁধের কাজে অনিয়ম হওয়ায় বাঁধটি টিকেনি। জমির ধান পাকার আগেই এমন পরিস্থিতি হবে, এলাকার কৃষকেরা ভাবেননি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীম খন্দকার বলেন, লাখাই উপজেলার হাওরের সঙ্গে কালনী ও মেঘনা শাখানদী সরাসরি যুক্ত থাকায় হাওরে পানি বেশি ঢুকছে। পাশাপাশি বুধবার বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে তিনটি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনটি বাঁধের মধ্যে দুটি বাঁধ স্থানীয় কৃষকেরা দিয়েছিলেন। তবে কৃষকেরা দ্রুত ধান কাটা শেষ করছেন। এ পর্যন্ত ডুবন্ত ২০০ হেক্টর জমির ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমরা স্থানীয় কৃষকদের ধান কাটার যন্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করছি। যে হারে ধান কাটা হচ্ছে, আরও কয়েক দিন সময় পেলে হাওরের বেশির ভাগ ধান কেটে ফেলা যাবে।’