- মে ১, ২০২২
- জাতীয়
- 406
নিউজ ডেস্কঃ করোনা মহামারির কারণে গত দু’বছরে লকডাউন, শাটডাউন, ভেইকেল মুভমেন্ট পাস এসব বিধি নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই কেটেছিল চার চারটি ঈদ। তাই অনেকে বাড়ি যেতে পারেননি। তাই এবার ঘুরমুখো মানুষের ভিড় বেশি ছিল। কিন্তু অন্যান্য মহাসড়কের মতো ঈদ মানে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানজট ছিল নিত্যসঙ্গী। কিন্তু এবার ঈদের ছুটি দীর্ঘ হওয়ায় শেষ মুহূর্তে এসে যানজট নেই ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে।
রোববার (১ মে) এ রুটে যাতায়াতকারী যাত্রীদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। তারা জানিয়েছেন, এ ভিন্নতার মূলকারণ হচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশের রাস্তায় সরব অবস্থান ও যানজট নিরসনে নিরলস কাজ করা। এছাড়া ছুটি দীর্ঘ হওয়ায় আগেই রাজধানী ছেড়েছেন অনেক মানুষ। তাই শেষ মুহূর্তে যাত্রীরা স্বস্তিতেই বাড়ি ফিরেছেন।
সকালের রাজধানী ঢাকা থেকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার উদ্দেশে রওনা দেন সংসদের সাবেক ডেপুটি সার্জেন্ট-অ্যাট-আর্মস স্কোয়াড্রন লিডার সাদরুল আহমেদ খান। টেলিফোনে তিনি বলেন, রাস্তায় কোনো জ্যাম ছিল না। হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশের রাস্তায় সরব অবস্থান দেখে গেছে। ঢাকা থেকে কুলাউড়া ফিরছিলাম, এবার রাস্তায় যানচলাচল পরিস্থিতি অনেক ভালো। আসার সময় তেমন যানজট পেলাম না। কাঞ্চন ব্রিজ, ভৈরব ব্রিজ টোল প্লাজায় গাড়ির লাইন ও ডিসিপ্লেন রক্ষা করছে পুলিশ। কোসো গাড়ি উল্টোপথে বা অযাচিত সুবিধা নিতে পারছে না।
তিনি বলেন, কাঞ্চন ব্রিজের পর ভোলতা সিলেট মহাসড়ক পর্যন্ত প্রতিটি রাস্তার মোড়ে পুলিশ সদস্য দাঁড়িয়ে ছিলেন, যার ফলে সরু রাস্তা থেকে উঠে আসা রিকশা ও ব্যাটারিচালিত বাহনগুলো রাস্তা যানজট তৈরি করতে পারেনি। পুলিশের অন্তত দুটি রেকার চোখে পড়ল, যদি কোনো গাড়ি বিকল হয় সেটিকেও রাস্তা থেকে সরিয়ে ফেলার কাজ হচ্ছে দ্রুততার সঙ্গে।
সিলেটগামী আরেক যাত্রী সানাউল হক বলেন, নরসিংদী বাজার, ভৈরব বাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-সরাইল রোড, মাধবপুর বাজার, শায়েস্তাগঞ্জ ব্রিজ,বাহুবল বাজার, শ্রীমঙ্গল বাজার, মৌলভীবাজার বাইপাস এসব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নিয়মিত ট্রাফিক পুলিশের চেয়ে অন্তত দশগুন জেলা পুলিশের লোকবল রিইনফোর্সমেন্ট করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা যান চালাচল গতিশীল করার পাশাপাশি, রাস্তার ওপরে ভাসমান মৌসুমি দোকান সরাচ্ছেন, স্টপেজ ছাড়া যাত্রী ওঠানামা বিরত করছেন, যাত্রীছাউনিতে বাসের অনিয়ম করে দেরি করতে দিচ্ছেন না, এছাড়া বিভিন্ন নির্দেশনা লেখা লিফলেট বিতরণ করছেন, মাইকিং করছেন।
হবিগঞ্জগামী যাত্রী অমিত হাসান বলেন, অন্যান্য ঈদের এ সাড়ে তিন ঘণ্টার পথ সাত/আট ঘণ্টা লাগে। কিন্তু এবার চার ঘন্টায় বাড়িতে এসেছি।