• মে ২০, ২০২২
  • শীর্ষ খবর
  • 375
দোয়ারাবাজারে বন্যায় চরম দূর্ভোগে লাখো মানুষ

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। সুরমা, চেলা, মরা চেলা, চিলাই, চলতি, কালিউড়ি, খাসিয়ামারা, ধূমখালি, মৌলা ও ছাগলচোরাসহ বিভিন্ন নদীনালা, খালবিল ও হাওড়ের পানি এখনো বিপদসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সাথে পূবাল ও দক্ষিণা ধমকা হাওয়ার উত্তাল ঢেউয়ে নদীতীরের দোকানপাট, স্থাপনা ও হাওরপাড়ের রাস্তাঘাটসহ অনেক কাঁচা বাড়িঘর ক্রমশ ধসে যাচ্ছে।

উপজেলার সব জায়গায় বানের পানি থৈ থৈ করায় গৃহস্থালি মালামাল রক্ষায় ব্যস্ত থাকায় আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিতে পারেনি অনেক পরিবার। ফলে গবাদি পশু ও পরিবার পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে, অনাহারে অসহনীয় হয়ে উঠেছে বানভাসিদের জনজীবন।

বন্যায় লন্ডভন্ড হয়েছে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের কাঁচা-পাকা রাস্তা, ব্রিজ-কালভার্ট, কাঁচা ঘরবাড়ি, হাজার হাজার হেক্টর উঠতি আউশ, বোরো ও রবিশস্য। ভসে গেছে উপজেলার অর্ধশতাধিক পুকুরের কোটি টাকার মাছ। খামারিদের কাছে বাকিতে মাছের খাদ্য সরবরাহ করায় কোটি টাকার দায়বদ্ধ রয়েছেন স্থানীয় ডিলাররা।

এ দিকে চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল ত্রাণ, পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব, খাদ্যাভাবে চরম সংকটাপন্ন গবাদি পশু ও পরিবার পরিজন নিয়ে হাওরপাড়ের বানভাসিদের আহাজারিতে আকাশ বাতাস ক্রমশ ভারি হয়ে উঠছে। তবে প্রধান অন্তরায় হচ্ছে চলাচলের অযোগ্য গ্রামীণ জনপদের বিধস্ত রাস্তাগুলো। গত ৭ দিন ধরে জেলা ও উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে উপজেলার ৯ ইউনিয়নের।

বন্যা উপদ্রুত দোয়ারাবাজার উপজেলাকে অচিরেই দূর্গত এলাকা ঘোষণা করে পর্যাপ্ত ত্রাণ বরাদ্দসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার দাবি জানিয়েছেন উপজেলাবাসী।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাংশু কুমার সিংহ জানান, বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলায় নিপীড়িত জনগনের পাশে রয়েছে বর্তমান খাদ্যবান্ধব সরকার। দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মওজুদ রয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন দূর্গত এলাকায় পানি বিশুদ্ধিকরণ ট্যাবলেট ও পানীয় জল, জরুরি ওষুধপত্র, শুকনো খাবার ও চাল-ডাল বরাদ্দসহ জরুরি ত্রাণ তৎপরতায় সচেষ্ট রয়েছে।