• জুন ১৭, ২০২২
  • শীর্ষ খবর
  • 259
হবিগঞ্জে থই থই পানি, চোখ রাঙাচ্ছে কালনী-কুশিয়ারা

হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ দু’দিন ধরে ভারী বৃষ্টির কারণে হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে সড়কগুলো। ফলে যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে । এছাড়া কয়েকশ দোকান এবং বাড়িঘরেও পানি ঢুকে গেছে।

হবিগঞ্জ শহরে অবস্থিত সার্কিট হাউজ, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), পুলিশ সুপারের (এসপি) বাস ভবন, জেলা প্রশাসকের (ডিসি) বাস ভবন এবং গণপূর্ত বিভাগের কার্যালয়ের ভেতর পানিতে থই থই। এ দপ্তরগুলোর কোনোটির ভেতরে হাঁটু সমান আবার কোনোটির ভেতরে উরু সমান পানি দেখা গেছে।

স্থানীয়রা বলছেন, ভারী বৃষ্টি হলেই দীর্ঘ সময় ধরে পানি জমে থাকে পুরো হবিগঞ্জ শহরে। বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে যায়। এ সমস্যা দীর্ঘ দিনের। এখানকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়ন না ঘটালে সমস্যাটি লেগেই থাকবে।

এদিকে পানি বাড়ছে হবিগঞ্জের কালনী এবং কুশিয়ারা নদীতেও। নদীগুলোর পানি এখন বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। এজন্য হাওরাঞ্চলের লোকজনের কপালে এখন চিন্তার ভাজ।

শুক্রবার (১৭ জুন) বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রায় ৩-৪ ফুট জলাবদ্ধতা পাড়ি দিয়ে হবিগঞ্জ শহরবাসী চলাচল করছে। জেলা শহরের প্রধান সড়কে গাড়ির সঙ্গে নৌকাও চলছে। ফুটপাতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মালামাল ভেসে যাচ্ছে।

জেলা শহরের শায়েস্তানগর, উত্তর শ্যামলী, দক্ষিণ শ্যামলী, গোসাইনগর, সার্কিট হাউজ রোড, মাহমুদাবাদ, গার্ণিং পার্কসহ আরও কয়েকটি এলাকার বাসাবাড়িতে হাঁটু পানি জমতে দেখা গেছে। দোকানের ভেতর ঢুকে যাওয়া পানি সেচে বের করছেন ব্যবসায়ীরা।

যোগাযোগ করলে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কৃষক ওয়ারিশ মিয়া বলেন, নদীর পানি প্রতিদিন বাড়ছে। বাড়ির সামনেও পানি এসে পড়েছে। আর কয়েকদিন এভাবে পানি বাড়তে থাকলে বন্যার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিন্টু চৌধুরী বলেন, হবিগঞ্জ শহরে কালনী ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে হাওরাঞ্চলের প্রত্যেকটি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে, পর্যাপ্ত বরাদ্দও দেওয়া হয়েছে।