- জুন ২১, ২০২২
- শীর্ষ খবর
- 264
হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। পানিবন্দি অবস্থায় জীবন যাপন করছেন উপজেলাগুলোর কয়েক লাখ মানুষ।
জেলার ১১৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে ঠাঁই নিয়েছে বন্যাদুর্গত এলাকার ৮ হাজার ৭৭৪টি পরিবার।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত জেলার আজমিরীগঞ্জ, নবীগঞ্জ, বানিয়াচং, লাখাই ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়েছে। আজমিরীগঞ্জে ৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা, নবীগঞ্জের ৯টি ইউনিয়ন, বানিয়াচংয়ের ১৫টি এবং লাখাই উপজেলার ৪টি ইউনিয়নবাসী এখন বন্যাদুর্গত।
বন্যা কবলিত মানুষের জন্য এখন পর্যন্ত বরাদ্দ হয়েছে ৫ লাখ টাকার শুকনো খাবার ও ৩৫ মেট্রিক টন চাউল। ২৮টি মেডিক্যাল টিম দুর্গত এলাকায় চিকিৎসা দিচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৬ হাজার ৭৭৮ হেক্টর আউশ, ১৪ হাজার ৩৩৫ হেক্টর বোনা আমন এবং ১ হাজার ৫৩০ হেক্টর সব্জির জমি নিমজ্জিত হয়ে গেছে।
সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামে খোয়াই নদীর বাঁধ ভাঙ্গায় শহরতলীর পশ্চিম অঞ্চলে দ্রুত গতিতে পানি বাড়ছে। শহরতলীর রিচি, সুলতান মাহমুদপুর, জালালাবাদ, দুর্লভপুরসহ বেশকিছু গ্রামের ঘরবাড়ি পানির নিচে চলে গেছে। হবিগঞ্জ আধুনিক স্টেডিয়াম পানিতে নিমজ্জিত।
লাখাই উপজেলার বুল্লা ইউনিয়নের গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া প্রমিলা দাস বলেন, ‘দুই দিন পানিবন্দি থাকছি, মঙ্গলবার এই ইস্কুলে আইছি। এরপর একদিন খাওয়ান পাইনি, না খেয়ে থাকছি, আজ সরকারি শুকনো খাবার পাইলাম। ’
বুল্লা সিংহগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আব্দুল মালেক বলেন, ‘দুই দিনের পানিতে সবকিছু তলাইয়া গেল, এই লোকসান কাটাইয়া উঠতে এক বছর লাগব। ’
মঙ্গলবার (২১ জুন) হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির লাখাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বন্যা কবলিতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করে যাচ্ছেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. মুশফিউল আলম আজাদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শরীফ উদ্দিনসহ অন্যান্যরা তার সঙ্গে রয়েছেন।