- মে ১৩, ২০২০
- জাতীয়
- 555
নিউজ ডেস্কঃ করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতিতে চলমান সাধারণ ছুটি আরও বাড়বে নাকি অফিস খুলে দেয়া হবে- সেই বিষয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সিদ্ধান্ত দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়ের সময় প্রধানমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত দেবেন বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।
তবে ১৬ মের পর ঈদের ছুটির আগে মাত্রা চারটি কর্মদিবস থাকায় ছুটি আরও বাড়ছে বলেই মনে করছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে প্রধানমন্ত্রী জেলা প্রশাসনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নানা দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। আগামীকালও প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্স রয়েছে। ছুটির বিষয়টিও তিনি সেখানে জানাবেন বলে আমরা জেনেছি।
প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত জানালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সেই অনুযায়ী আদেশ জারি করা হবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বৃহস্পতিবারের ভিডিও কনফারেন্সের দিকে আমরা নজর রাখব। তার দেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’
করোনার কারণে সরকার প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে। পরে আরও ছয় দফায় ছুটি বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। কিন্তু দেশে এখনও করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি নেই, বরং দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। মঙ্গলবারও এ ভাইরাসে নতুন করে ৯৬৯ জনের আক্রান্ত হওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
১৬ মে ও ঈদের ছুটির মাঝখানে কর্মদিবস মাত্র চারটি- ১৭, ১৮, ১৯, ২০ মে। এরপর ২১ মে শবে কদরের ছুটি। এরপর ২২ ও ২৩ মে সাপ্তাহিক ছুটি। আবার রমজান মাস ৩০ দিন ধরে ২৪ মে (রবিবার) থেকে শুরু ঈদের ছুটি। ২৫ ও ২৬ মে’ও (সোম ও মঙ্গল) ঈদের ছুটি থাকবে। সরকারি ছুটির তালিকায় এভাবেই নির্ধারিত আছে।
তবে রমজান মাস ২৯ দিনে শেষ হলে ঈদের ছুটি থাকবে ২৩, ২৪ ও ২৫ মে (শনি, রবি ও সোম)।
ইতোমধ্যে জরুরি সেবা সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিস সীমিত পরিসরে খুলে দেয়া হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মানা সাপেক্ষে দোকান, শপিংমল, কারখানা, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিসহ অন্যান্য শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে খুলে দেয়া হয়েছে। তবে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন।
তবে এর আগের ছুটি বাড়ানোর নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, ঈদের সময়ে আন্তঃজেলা পরিবহন বা দূরপাল্লার কোনো যানবাহন চালাচল করবে না। এছাড়া ঈদের ছুটিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।