• নভেম্বর ১৩, ২০২০
  • রাজনীতি
  • 464
‘বাসে আগুন প্রমাণ করে বিএনপি সন্ত্রাসী পন্থা পরিহার করেনি’

নিউজ ডেস্কঃ রাজধানীতে বাসে আগুনের ঘটনা প্রমাণ করে বিএনপি তাদের চিরাচরিত সন্ত্রাসী পন্থা পরিহার করতে পারেনি। তাদের নীলনকশা অনুযায়ী চলতে দিতে হবে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে দিতে হবে। তাদের এ ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের কারণে জনগণ তাদের বারবার প্রত্যাখ্যান করেছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীতে কয়েকটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, নিরীহ মানুষের জীবনহানির মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার অপচেষ্টা তাদের পুরনো অভ্যাস। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল তাদের একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। এখনো বিএনপি কোনো ধরনের গণতান্ত্রিক নিয়ম-কানুন বিধি-নিষেধ তোয়াক্কা না করে তাদের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে। গতকালের ঘটনা সেটাই প্রমাণ করে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলতে চাই, বিএনপির এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। বৈশ্বিক মহামারি করোনার এই মানবিক সংকটের ভিতরেও তাদের ধারাবাহিক নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। অতীতের মতো জনগণকে নিয়ে আওয়ামী লীগ এ ধরনের সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত।

ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পূর্ণ হওয়ায় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে কাদের বলেন, যে কোনো নির্বাচন এলেই বিএনপি হইচই করে মাঠ গরম করে। অথচ ভোটের দিন তাদের আর মাঠে দেখা যায় না। ভোট গণনা শেষে জণগণ প্রত্যাখ্যান করলে বিএনপি নেতারা বলে সরকার কারচুপি করে হারিয়ে দিয়েছে। এটি তাদের পুরনো অভ্যাস।

‘কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে তারা জিতলো, তারপর বলল যে আরো বেশি ভোটে জিততাম যদি সরকারি দল কারচুপি না করতো। সিলেটের বেলাতেও একই বক্তব্য, আরো বেশি ভোটে জিততাম? তারা জিতলে বলে আরো বেশি ভোটে জিততাম আর হারলে তো সরকার হারিয়ে দিয়েছে, নির্বাচন কমিশন হারিয়ে দিয়েছে? এই হচ্ছে অবস্থা?’

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।