• মে ১০, ২০২০
  • বিজ্ঞপ্তি
  • 1151
প্রতিবেশীর ঘরে খাবার আছে কিনা খোঁজ রাখুন : মিজান চৌধুরী

নিউজ ডেস্কঃ পবিত্র রমজান মাসে যেন আপনার প্রতিবেশী অভুক্ত অবস্থায় যেন রোজা না রাখে ও প্রতিবেশীর ঘরে খাবার আছে কিনা খোঁজ রাখার জন্য সবার প্রতি আহবান জানিয়েছেন, বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও বিগত নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৫ ছাতক-দোয়ারাবাজার আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মিজানুর রহমান চৌধুরী।

তিনি বলেন, করোনার মহামারিতে ভয়াবহ খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে কর্মহীন অসহায় মানুষদের ঘরে। খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন এসব মানুষ। পবিত্র রমজান মাসে অনেকেই না খেয়ে রোজা রাখছেন যা অতীব কষ্টকর। আমাদের দায়িত্ব তাদের খোজ রাখা। আমাদের সবার সামর্থ্য অনুযায়ী তাদের সাহায্য করা।

রোববার (১০ মে) ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের হায়দরপুর গ্রামে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এর নির্দেশনায় সারা দিয়ে দ্বিতীয় দফায় উপহার সামগ্রী বিতরণ কালে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় মিজান চৌধুরী বলেন, এই দুর্যোগের সময়ও সরকারের পৌষ্য জনপ্রতিনিধিরা দুর্নীতিতে পিছিয়ে নেই, অসহায় মানুষদের জন্য বরাদ্দকৃত খাদ্য সামগ্রী চুরিতে ব্যস্ত তারা। অপর দিকে এই দুর্নীতির বিরোদ্ধে কেউ কথা বলতে পারছেনা। কথা বললেই মুখ বন্ধ করতে ব্যবহার করা হচ্ছে কালো আইন (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন)। আমি করোনার ভয় উপেক্ষা করে ছাতক দোয়ারার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি। আমার সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। অসহায় মানুষদের পাশে ছিলাম আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।

তিনি আরও বলেন, সরকার করোনা মোকাবেলায় পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে, অসহায় মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতেও ব্যর্থ হয়েছে। এ ব্যর্থতার দায় সরকার কোন ভাবে এড়াতে পারেনা। জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “সরকারের বিনা ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা এসি রুমে না ডেকে ঘুমচ্ছেন। করোনা থাকতে বাঁচতে খাঁচায় বন্ধী হয়েছেন। অথচ তাদের এলাকার মানুষ আজ অসহায় ভাবে ক্ষুধার্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। এখনই সময় খাঁচা থেকে বের হয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। না হলে এর জবাব অবশ্যই জনগণের কাছে দিতে হবে।”

উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির শুরুতেই প্রথম দফায় ছাতক-দোয়ারাবাজারের ২২ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১০ হাজার কর্মহীন, অসহায়, দরিদ্র মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় দফায় শনিবার ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের ৩টি ওয়ার্ডে কয়েক শতাধিক মানুষের মধ্যে উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন এবং আজ রোববারও আরও কয়েকটি ওয়ার্ডের কয়েক শতাধিক মানুষের মধ্যে উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন তিনি।