• মে ২১, ২০২০
  • শীর্ষ খবর
  • 1489
করোনাকালে শাহজালাল (র.) মাজার (ভিডিওসহ)

সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্কঃ উপমহাদেশের একজন বিখ্যাত দরবেশ ও পীর ওলিকুল শিরোমণি হযরত শাহজালাল (র.) মাজার শরিফ। সারাবছরই এখানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভক্তরা আসতেন দর্শন ও জিয়ারত করতে। ওরস, শবে বরাতের, শবে কদর, ঈদসহ যেকোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠানে কানায় কানায় পূর্ণ থাকতো মাজার প্রাঙ্গন। কিন্তু বর্তমানে করোনা মহামারির কারণে সুনশান নিরবতা বিরাজ করে মাজার ও আশপাশের এলাকায়।

রমজান মাসে সিলেটের হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজারে মুসাফিরদের সেহেরি ও ইফতার করানোর ঐতিহ্য প্রায় ৭০০ বছর আগের। তাই অতিতের ন্যায় প্রতিবছরই প্রথম রমজান থেকে মাজারে মুসাফিরদের জন্য আয়োজন করা হতো সেহেরি ও ইফতারের। তবে এবার নেই এরকম কোনো আয়োজন। রোজার সময় যেখানে দুপুর গড়ালেই দরগাহের রান্নাঘরে শুরু হতো আয়োজন। সেই রান্নাঘরে আজ নেই কোনো ব্যস্থতা। চুলায় নেই আগুন। রান্নার বড় বড় হাড়িগুলোও সাজিয়ে রাখা।

লঙ্গরখানায়ও নেই মানুষের ভিড়। যে লঙ্গরখানায় ধনী গরিব নির্বিশেষে এক কাতারে সবাই ইফতার করতেন সে লঙ্গরখানা এখন নিস্তব্দ।

মাজারে আগত দর্শনার্থীদের নজরকাড়তো জালালী কবুতর। এই কবুতরগুলোও এখন নিঃসঙ্গ। মাজার প্রাঙ্গনে কবুতর দেখতে এবং খাবার দিতে এখন কেউ আসতে পারেন না। মাজার কর্তৃপক্ষই এসব কবুতরের খাবার সরবরাহ করছেন।

শাহজালাল মাজারের প্রধান আকর্ষণ গজার মাছ। মাজারের পুকুরের বড় বড় গজার মাছ দেখা, তাদেরকে খাবার খাওয়ানো, পুকুরে অজু করার জন্য উপচে পড়া ভিড় থাকতো। করোনার কারনে পুকুরের আশপাশে নেই মানুষের পদচারনা।

জমজমের কূপ ও ঝরণায় প্রবেশের দ্বারও বন্ধ।

মাজারের পূর্ব দিকে একতলা ঘরের ভেতরে বড় তিনটি ডেকচি রয়েছে। ডেকচিগুলোতে রান্নাবান্না হয় না। পূণ্যের উদ্দেশ্যে প্রতিদিন দর্শনার্থীরা ডেকচিগুলোতে প্রচুর টাকাপয়সা দান করতেন। কিন্তু আজ এই ডেকচিগুলোও খালি।