• জুন ১২, ২০২০
  • জাতীয়
  • 441
অস্ট্রেলিয়াকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

নিউজ ডেস্কঃ অস্ট্রেলিয়ার কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিনেটর মারিসে আন পেইনির সঙ্গে বৃহস্পতিবার (১১ জুন) ফোনে আলাপকালে তিনি এ আহ্বান জানান। শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আলাপকালে ড. মোমেন বলেন, এ অঞ্চলের যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশে বিনিয়োগ লাভজনক। বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বিদ্যমান। অন্য দেশ থেকে কোনো কোম্পানি এ দেশে বিনিয়োগ স্থানান্তর করতে চাইলেও বাংলাদেশ স্বাগত জানাবে।

তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার দেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করতে চায়। বাংলাদেশ ১০০টি অথনৈতিক অঞ্চল সৃষ্টি করছে যেখানে অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করলে তারা যেমন লাভবান হবেন, বাংলাদেশিদেরও কর্মসংস্থান হবে। এছাড়া বাংলাদেশে ২৮টি হাইটেক পার্ক ও তথ্যপ্রযুক্তিতে বিপুল সংখ্যক দক্ষ জনগোষ্ঠী রয়েছে।

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে অস্ট্রেলিয়ার সহায়তা কামনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা নিজ ভূমি মিয়ানমারে ফিরে গেলেই কেবল তাদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত হতে পারে। অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ফিরিয়ে নেয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের নাগরিক নয়। সম্পূর্ণ মানবিক কারণে বাংলাদেশ সাময়িকভাবে তাদের আশ্রয় দিয়েছে। মিয়ানমারে নির্যাতিত হয়ে রোহিঙ্গারা গভীর সমুদ্রে আশ্রয় নিলেও কোনো দেশ তাদের উদ্ধারে এগিয়ে আসে না। অন্যান্য দেশেরও উচিত তাদের দায়িত্ব নেয়া।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানবিক কারণে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে রাখা হয়েছে। সাইক্লোন আম্ফানে সারাদেশে ব্যাপক ক্ষতি হলেও ভাসানচরে এর কোনো প্রভাব পড়েনি।

৪৮টি দেশের সংগঠন ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। পৃথিবীর তাপমাত্রা যাতে ১.৫ ডিগ্রির বেশি বৃদ্ধি না পায় সে বিষয়ে এ ফোরামের উদ্যোগের বিষয়ে অস্ট্রেলিয়া সরকারের সহায়তা কামনা করেন ড. মোমেন।

তিনি বলেন, জাতিসংঘে কমনওয়েলথের কোনো অফিস বা প্রতিনিধি না থাকায় জাতিসংঘের আলোচনায় এ সংস্থা সদস্য রাষ্ট্রগুলোর স্বার্থ রক্ষায় যথাযথ ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। জাতিসংঘের আলোচনায় প্রতিনিধিত্ব থাকলে সংস্থা হিসেবে কমনওয়েলথের সক্ষমতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাবে।

এ সময় করোনা মহামারি পরিস্থিতির মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীসহ দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সহযোগিতার জন্য অস্ট্রেলিয়ার সরকারকে ধন্যবাদ জানান ড. মোমেন।