• জানুয়ারি ১২, ২০২১
  • শীর্ষ খবর
  • 277
এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ: আদালতে অভিযোগপত্র গ্রহণ

নিউজ ডেস্কঃ সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণীকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলার অভিযোগপত্রে কোনো অসংগতি খুঁজে পাননি বাদীপক্ষের আইনজীবীরা। অভিযোগপত্র পর্যালোচনা করে আদালতে এ তথ্য জানানোয় শুনানি শেষে অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্ত সব আসামির উপস্থিতিতে শুনানি শেষে বিচারক মো. মোহিতুল হক চৌধুরী মামলাটি আমলে নিয়ে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।

আদালত সূত্র জানায়, গত রোববার বাদীপক্ষের আইনজীবী অভিযোগপত্র পর্যালোচনার জন্য একটি আবেদন করে সময় চাইলে আদালত দুই দিনের সময় নির্ধারণ করে দেন। এর আগে ৩ জানুয়ারি মামলার অভিযোগ গঠনের প্রথম শুনানি শেষে এই তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। ওই তারিখে বাদীপক্ষের আইনজীবী অভিযোগপত্র পর্যালোচনায় সময় প্রার্থনা করেছিলেন। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে মামলার নথিপত্র বাদীপক্ষ না পাওয়ায় দ্বিতীয় দফায় অভিযোগপত্র পর্যালোচনার জন্য আবেদন করেন।

অভিযোগপত্র পর্যালোচনায় আদালতে দাখিল করা বাদীপক্ষের আবেদনে মামলার অভিযোগপত্র, সিজারলিস্ট, জিম্মানামা, স্ক্যাচমেপ, ইনডেক্স, ইনডেক্সের সূচি ও ব্যাখ্যা, মেডিকেল রিপোর্ট, ডিএনএ রিপোর্ট, আসামিদের দোষ স্বীকারমূলক জবানবন্দি, ২২ ধারার জবানবন্দি, ১৬৪ ধারার জবানবন্দি ও আসামিদের রিমান্ড আবেদনের জাবেদা নকল দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।

বাদীপক্ষের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশনায় রোববারই সব নথিপত্র হস্তান্তর করা হয়। অভিযোগপত্রসহ সব নথিপত্র ঘেঁটে পর্যালোচনা করে বাদীর ন্যায়বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কোনো অসংগতি না পাওয়ায় অভিযোগপত্রে নারাজি না দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়।

এ প্রসঙ্গে বাদীপক্ষের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা অভিযোগপত্র পর্যালোচনা করার জন্য দুদিনর সময় নিয়ে তা পর্যালোচনা করে দেখেছি। সব আসামিকে অভিযোগপত্রে যথাযথভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে কোনো অসংগতি পাওয়া যায়নি। অভিযোগপত্রের পর্যালোচনায় আমরা আদালতকে বলেছি, আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আদালত পরবর্তী সময়ে মামলাটি আমলে নিয়ে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। এখন বিচারপ্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ অভিযোগ গঠন করা হবে। শুনানিকালে আদালত জানিয়েছেন, অভিযোগ গঠনের তারিখটি পরবর্তীতে নির্ধারণ করা হবে।’

গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে এক তরুণীকে (২০) দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর স্বামী বাদী হয়ে মহানগর পুলিশের শাহপরান থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং দুজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন। ঘটনার পর আসামিরা পালিয়ে গেলেও তিন দিনের মধ্যে ছয় আসামি ও সন্দেহভাজন দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ও র‍্যাব। গ্রেপ্তারের পর তাঁদের পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

গত ৩ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের আট নেতা-কর্মীকে অভিযুক্ত করে মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ও মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য। অভিযোগপত্রে সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজনকে দল বেঁধে ধর্ষণের জন্য অভিযুক্ত করা হয়। আসামি রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুমকে ধর্ষণে সহায়তা করার জন্য অভিযুক্ত করা হয়। আট আসামিই বর্তমানে কারাগারে।