• মে ৫, ২০২১
  • জাতীয়
  • 241
টিকার দ্বিতীয় ডোজ ১২ সপ্তাহ পরও নেওয়া যাবে : স্বাস্থ্য অধিদফতর

নিউজ ডেস্কঃ দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজের টিকা নেওয়াদের মধ্যে ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৫১৪ জন দ্বিতীয় ডোজের অনিশ্চয়তায় পড়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতর নির্ধারিত দ্বিতীয় ডোজের নির্ধারিত সময় অর্থাৎ ৮ সপ্তাহ পার হয়ে যাওয়ায় তাদের অনেকের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছে।

এ অবস্থায় অধিদফতর বলছে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার এক ডোজেই ৭৬ শতাংশ সুরক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাই দ্বিতীয় ডোজ পাওয়া নিয়ে ভয়ের কিছু নেই।

বুধবার (৫ মে) দুপুরে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেকে প্রথম ডোজ নেওয়ার পর চিন্তিত রয়েছি, দ্বিতীয় ডোজ আমরা নিতে পারব কি না। ইতোমধ্যে দেখানো হয়েছে, টিকার একটি মাত্র ডোজও যদি কেউ পেয়ে যান তাহলে ৭৬ শতাংশ সুরক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই টিকাতেই আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। সুতরাং নির্ধারিত সময়ে দ্বিতীয় ডোজ না নিতে পারলেও কোনো সমস্যা নেই। তাই যারা প্রথম ডোজ নিয়ে টিকা সংকটের জন্য দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারছেন না বলে অত্যন্ত বিব্রতকর অবস্থায় আছেন, তাদেরকে নিশ্চিত বলতে চাই ভয়ের কোনো কারণ নেই।’

রোবেদ আমিন বলেন, ‘সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রথম ডোজের পর দ্বিতীয় ডোজ হবে আট সপ্তাহ পর। আপনারা যদি বৈজ্ঞানিকভাবে দেখেন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার যে টিকাটি আমরা ব্যবহার করছি, তা শুধু আট সপ্তাহ নয়, বরং ১২ সপ্তাহ পরও কিন্তু কার্যকর হয়, এবং এটি কিন্তু পূর্ণ মাত্রায় সুরক্ষা আমাদেরকে দিতে পারে। তাহলে আট সপ্তাহের মধ্যে যদি টিকা নিতে না পারেন তবে চিন্তার কিছু নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন সাময়িকভাবে টিকা নিতে না পারলেও ১২ সপ্তাহ পর টিকা নেওয়ার সুযোগ থাকবে। তাই এরকম সংকটে কোন সংশয় যেন আমাদের মধ্যে না থাকে যে, প্রথমে পেলাম পরে আর পেলাম না। আমরা এ ধরনের সংশয় থেকে মুক্ত থাকতে চাই।’

প্রথম ডোজ অক্সফোর্ডের নিয়ে দ্বিতীয় ডোজ অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের নেওয়া যাবে কি না- এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র বলেন, ‘সময়মতো আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। পৃথিবীব্যাপী জরুরি পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার জন্য যে সিদ্ধান্ত সেটাই নেওয়া হবে। শঙ্কার কোনো কারণ নেই। ইতোপূর্বে জরুরি পরিস্থিতিতে অন্যান্য কোম্পানির টিকা দিয়ে অন্য রোগের টিকা কর্মসূচি চলমান রাখা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যান্য দেশ যদি অন্য কোম্পানির টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু করে তাহলে আমরাও এ সিদ্ধান্ত নেব।’