• জুন ২৭, ২০২১
  • জাতীয়
  • 200
অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুই ডোজে ৯৩ শতাংশ অ্যান্টিবডি

নিউজ ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রথম ভ্যাকসিন দেওয়ার চার সপ্তাহ পর ৪১ শতাংশ গ্রহীতার শরীরে ও দ্বিতীয় ভ্যাকসিন দেওয়ার দুই সপ্তাহ পর ৯৩ শতাংশ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।

রোববার (২৭ জুন) সকালে ঢামেকের লেকচার হলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এস এম শামসুজ্জামান।

অধ্যাপক ডা. এস এম শামসুজ্জামান জানান, আমরা অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রোজেনেকা ভ্যাকসিনের ১ম ও ২য় ডোজ নেওয়া ৩০৮ জন চিকিৎসক ও কর্মচারীদের ওপর গবেষণা করি। এই গবেষণা ৫ মাস ধরে করা হয়েছিল। তাদের প্রত্যেকের শরীরে প্রথম ডোজ নেওয়ার ৪ সপ্তাহ পরে নমুনা সংগ্রহ করে অংশগ্রহণকারী শরীরে ৪১ শতাংশ অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে এবং দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার দুই সপ্তাহ পর নমুনা সংগ্রহ করে অংশগ্রহণকারী শরীরে ৯৩ শতাংশ অ্যান্টিবডির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তিনি আরও বলেন, এই গবেষণা চালানো হয়েছে যাদের বয়স ৪২-৫০ বছরের মধ্যে। করোনার ভ্যাকসিন নিলে করোনা হবে না এ কথাটি ঠিক নয়। যাদের ভ্যাকসিন নেওয়া থাকবে তাদের করোনা হলেও সিবিয়ার পর্যায়ে যাবে না বলে জানান তিনি।

ঢামেকের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. টিটু মিঞা সাংবাদিকদের বলেন, টিকা নেওয়ার ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের গবেষণা চলবে। প্রধানমন্ত্রী বাজেটে গবেষণার জন্য আলাদা বাজেট করেছেন, এতে আমাদের নতুন নতুন গবেষণা করতে সহায়তা করবে। এ গবেষণাটি অনেক ব্যয়বহুল বলে জানান তিনি।

ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক জানান, সঠিক সময় সঠিক গবেষণা করেছেন আমাদের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের গবেষকর। গবেষণাটি যারা করেছেন তাদের আমি আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই। এ ভ্যাকসিন নিলে আমরা ভালো একটা রেজাল্ট পাব, পাশাপাশি আমরা ভালো একটা প্রোটেকশন পেতে পারি। সেই বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে আমরা সবাইকে জানিয়ে দিতে চাই। আরও গবেষণার জন্য প্রয়োজনে সহযোগিতা করা হবে বলেও আশ্বাস দেন হাসপাতালের পরিচালক।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অর্থায়নে গবেষণায় সার্বিক সহযোগিতা করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মাে. টিটো মিঞা এবং উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মাে. শফিকুল আলম চৌধুরী।