• সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১
  • খেলাধুলা
  • 228
বিসিবির কাউন্সিলর হচ্ছেন সিলেটের রাজিন সালেহ

নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচনে কাউন্সিলর হচ্ছেন জাতীয় দলের সাবেক পাঁচ অধিনায়ক। বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের নির্বাচিত অধিনায়ক হিসেবে এবার কাউন্সিলরশিপ পাচ্ছেন রাজিন সালেহ ও শাহরিয়ার নাফিস। এছাড়া আগের নির্বাচনে কাউন্সিলরশিপ পাওয়া গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, ফারুক আহমেদ ও মিনহাজুল আবেদীন নান্নু এবারও নির্বাচিত হচ্ছেন বলে জানা গেছে।

বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাবেক ক্রিকেটার কোটায় পাঁচজন সাবেক অধিনায়কের নাম বোর্ড সভাপতির দেয়ার এখতিয়ার আছে। এছাড়া জাতীয় দল এবং প্রথম শ্রেণীর সাবেক ক্রিকেটারদের মধ্য থেকে ১০ জনকে মনোনীত করবে বিসিবি।

বোর্ডের মনোনিত কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হচ্ছেন রাজিন সালেহ ও শাহরিয়ার নাফিস। সাবেক এ দুই অধিনায়কই প্রথমবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হচ্ছেন।

সিলেটের ছেলে রাজিন সালেহ জাতীয় দলের নিয়মিত অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমনের ইনজুরির কারণে ২০০৪ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। আর শাহরিয়ার নাফিস ২০০৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। রাজিন বর্তমানে সিলেটে বিভাগীয় দলের প্রধান কোচ। তিনি সিলেটের মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ও সহকারী পরিচালক (ক্রীড়া) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। নাফিস বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের সহকারী ম্যানেজার।

বিসিবির সর্বশেষ নির্বাচনে বোর্ডের নির্বাচিত পাঁচ কাউন্সিলর ছিলেন রকিবুল হাসান, গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, ফারুক আহমেদ, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু এবং খালেদ মাসুদ পাইলটকে। এবার পাইলট রাজশাহী জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে কাউন্সিলর হয়ে আসছেন। বাদ পড়ছেন রকিবুল হাসান।

চলতি মাসে শেষ হয়ে যাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হিসেবে নাজমুল হাসান পাপনের দ্বিতীয় মেয়াদ। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, মেয়াদ শেষ হওয়ার ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। তবে বিসিবি নির্বাচনের জন্য সময় নেবে না।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেই নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে চায় বোর্ড। এজন্য অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন দেওয়ার ইচ্ছা বোর্ডের। সরকারের মনোনয়নে ২০১২ সালের অক্টোবরে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন নাজমুল হাসান। ২০১৩ সালের অক্টোবরের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৭ সালের নির্বাচনে আবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বোর্ড সভাপতি হন। সেপ্টেম্বরে তার নেতৃত্বাধীন কমিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে।