• অক্টোবর ১৪, ২০২১
  • শীর্ষ খবর
  • 322
পাখি কেনাবেচার রাতের হাটে অভিযান, খাঁচাভর্তি বক উদ্ধার

নিউজ ডেস্কঃ সিলেট নগরের কেন্দ্রস্থলে মদিনা মার্কেট এলাকা। সন্ধ্যার পর সেখানে জমে ওঠে পাখি কেনাবেচা। ধরপাকড় এড়াতে রাতের বেলায় এভাবে পাখি কেনাবেচার বিষয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর এক বিক্রেতাকে আটক করার পর ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়।

এ ঘটনার সূত্র ধরে বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে এক পাখিশিকারিকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে তিনটি খাঁচাভর্তি বক।

অভিযানে ‘পাখিকুঞ্জ’ নামের একটি দোকানের আড়ত থেকে ৩টি খাঁচায় ১৯টি সাদা বক ও ১৮টি কানিবক উদ্ধার করা হয়। এ সময় পাখিকুঞ্জ থেকে ইয়াহিয়া আহমদ (৩৫) নামের এক যুবককে আটক করেন বন বিভাগের সশস্ত্র বনরক্ষীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাদা বক ও কানিবক সিলেট নগরের চা-বাগানের জলাশয়ে অবমুক্ত করা হয়।

অভিযানে বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিম, বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করিম চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে সহায়তা করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সদস্যরা।

বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম চৌধুরী বলেন, টানা দুই সপ্তাহের পর্যবেক্ষণের পর বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ থেকে এ অভিযান চালানো হয়।

রাত ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত অভিযান চলাকালে মদিনা মার্কেট এলাকায় দেখা যায়, সাদা বক বিক্রির জন্য যে লোকটি পাখিকুঞ্জের সাইনবোর্ডের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, তিনি মূলত পাখিশিকারি। আটক পাখিশিকারি ও বিক্রেতা ইয়াহিয়া আহমদ বলেন, সিলেটের গোলাপগঞ্জ এলাকার হাওর থেকে তিনি সাদা বক ও কানিবক শিকার করে এনেছেন। প্রতিটি বক ২০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি করেন তিনি।

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চল বাংলাদেশের বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিম বলেন, শীত মৌসুমের আগে এ রকম অভিযান সচেতনতা সৃষ্টিতে সহায়তা করবে। অভিযান শেষে তিনি বলেন, বক কৃষকের বন্ধু। এরা প্রচুর পরিমাণ পোকামাকড় খায়। এ কারণে ফসল উৎপাদন ভালো হয়। বক যখন ধানখেতের মাঝখান দিয়ে হাঁটে, তখন মাটি নরম হয়। এতে ধানের গোড়ায় বাতাস প্রবাহিত হয়। সেই সঙ্গে ধানে ক্ষতিকর অনেক পোকা আছে, যা এ বকগুলো খায়। কিছু মানুষ উপকারী এই পাখিগুলো শিকার করে খেয়ে ফেলছে। এতে পরিবেশের যেমন ক্ষতি হচ্ছে, তেমনই ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির প্রাকৃতিক শক্তির বিনাশ হচ্ছে।