• নভেম্বর ৬, ২০২১
  • শীর্ষ খবর
  • 235
কানাইঘাট সীমান্তে নিহত দুই বাংলাদেশির শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন

নিউজ ডেস্কঃ সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ভারত সীমান্তে নিহত দুই বাংলাদেশির লাশ গুলির চিহ্ন ছাড়াও নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া গেছে। গুলির ক্ষত রয়েছে মাথায় ও চোখে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) লাশ উদ্ধার করে পুলিশে হস্তান্তরের পর কানাইঘাট থানা-পুলিশের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদনে দুজনের শরীরে গুলি ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় জখমের চিহ্ন আছে। এসব জখম কীভাবে ও কেন, তা ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত করে বলা যাবে। ওসমানী মেডিকেল কলেজের মর্গে শুক্রবার রাতে লাশ পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার ময়নাতদন্ত হওয়ার কথা রয়েছে।

কানাইঘাট উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের ডোনা সীমান্তের ১৩৩১ নম্বর পিলারের পাশে গত বুধবার দুপুরে আসকর আলী (২৫) ও আরিফ মিয়া (২২) নামে দুই বাংলাদেশির লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। নিহত দুজনের বাড়ি এরালিগুল গ্রামে। আসকর পেশায় একজন দিনমজুর এবং আসিফ মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন করতেন।

পরিবারের সদস্যরা জানান, স্থানীয় লালবাজারে যাওয়ার কথা বলে মঙ্গলবার বিকেলে আরিফ ও আসকর বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। ডোনা সীমান্ত এলাকার কিছু মানুষের কাছ থেকে তাঁরা শুনেছেন আসকর ও আরিফ ভারতের মেঘালয় রাজ্যের উখিয়াং এলাকায় অনুপ্রবেশ করেছিলেন। এ সময় তাঁদের ওপর গুলি করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। ঘটনাস্থলেই দুজন মারা গেলে তাঁদের মরদেহ সীমান্তের ১৩৩১ মেইন পিলারের পাশে ফেলে রাখা হয়। সেখানেই তিন দিন দুজনের লাশ পড়ে ছিল।

বিজিবির সুরইঘাট ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে বিজিবি ও বিএসএফ অধিনায়ক পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। এরপর সন্ধ্যার দিকে বিএসএফ লাশ উদ্ধার করে বিজিবির কাছে দেয়।

কানাইঘাট থানা-পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যায় দুটো লাশ গ্রহণ করে একজন উপপরিদর্শকের মাধ্যমে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। প্রতিবেদনে নিহত আসকরের ডান চোখের পাশে মাথায় গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। আরিফের নাভির নিচে (স্পর্শকাতর জায়গা) গুলির চিহ্ন রয়েছে। দুই হাতে, পিঠে ও পায়ে জখমের নানা রকম চিহ্ন রয়েছে। এর মধ্যে পিঠের কিছু জায়গায় কোনো প্রাণীর কামড়ের চিহ্ন রয়েছে।

কানাইঘাট থানার ওসি বলেন, কামড়ের চিহ্নটি লাশ ফেলে রাখা অবস্থায় হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ দুটি প্রায় তিন দিন যে স্থানে ফেলে রাখা হয়েছিল, সেটি নালার মতো। সেখানে বড় কাঁকড়া রয়েছে। কামড়গুলো কাঁকড়ার হতে পারে। এ ছাড়া অন্যান্য জখমের চিহ্ন ঠিক কী কারণে, তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না।