• নভেম্বর ১৩, ২০২১
  • শীর্ষ খবর
  • 395
সিলেটে নার্সের লাশ উদ্ধার, স্বামী গ্রেপ্তার

বিয়ানীবাজার প্রতিনিধিঃ সিলেটের বিয়ানীবাজারে ভাড়া বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নার্সের লাশ পাওয়া গেছে। ওই নারীর নাম নবনীতা দাশ (২৯)। তিনি সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার সাউদের শ্রী গ্রামের সুব্রত কুমার দাশের মেয়ে। এ ঘটনায় বাবা সুব্রত কুমার দাশের দায়ের করা মামলায় নবনীতা স্বামী সৌমেন দাশকে (২৯) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার রাতে বিয়ানীবাজারের নয়াগ্রামে ভাড়া বাসা থেকে নবনীতার ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ পাওয়ার কথাটি জানান তাঁর স্বামী সৌমেন দাশ। তিনি লাশ উদ্ধার করে রাত আটটার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়েছিলেন। রাত নয়টার দিকে পুলিশ খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লাশটি উদ্ধার করে।

স্বামীর দাবি, নবনীতা আত্মহত্যা করেছেন। নবনীতার বাবা বাদী হয়ে বিয়ানীবাজার থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করেছেন। মামলায় নবনীতার স্বামী সৌমেন দাশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের আগে থেকেই নবনীতা চাকরি সূত্রে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসংলগ্ন নয়াগ্রামে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। প্রায় চার মাস আগে প্রেমের সম্পর্ক থেকে একই গ্রামের সৌমেন দাশকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর সৌমেনের পরিবার তাঁদের মেনে নিলেও নবনীতার পরিবার বিয়ে মেনে নেয়নি। বিয়ের পর থেকে তাঁরা নয়াগ্রামেই থাকতেন। নবনীতা নার্সের চাকরি করলেও স্বামী সৌমেন দাশ বেকার ছিলেন। তিনি কাজের সন্ধান করছিলেন। স্বামীর বেকারত্ব নিয়ে তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্য ছিল। গতকাল রাত আটটার দিকে তাঁদের ভাড়া বাসার একটি কক্ষে নবনীতাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পান বলে জানান স্বামী সৌমেন দাশ। পরে তিনি নবনীতাকে উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার থানা-পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে নবনীতার লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য রাতেই সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় বলেন, স্বামীর দাবি, নবনীতা আত্মহত্যা করেছেন। এদিকে, নবনীতার বাবা বাদী হয়ে বিয়ানীবাজার থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করেছেন। মামলায় সৌমেন দাশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।