• নভেম্বর ২৫, ২০২১
  • রাজনীতি
  • 261
খালেদা জিয়াকে ‌‘স্লো পয়জন’ দেওয়া হয়েছিল কি না, প্রশ্ন ফখরুলের

নিউজ ডেস্কঃ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘স্লো পয়জন’ দেওয়া হয়েছিল কি না, প্রশ্ন করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর দাবিতে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী যুবদল বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এ প্রশ্ন তুলেন।

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে না পাঠালে গণভবন ঘেরাও করে সরকার পতনের আন্দোলন করা হবে বলে সমাবেশ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বয়স ৭৫ বছরের বেশি। তাঁকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দিতে এক–এগারোর সময়ে যে চক্রান্ত শুরু হয়েছিল, সেই চক্রান্তের অংশ হিসেবে একটি সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কারাগারে দুই বছরের বেশি সময় আটক রাখা হয়েছিল। স্যাঁতসেঁতে কারাগারের কক্ষে ইঁদুর, চিকা ঘোরাঘুরি করত। পরে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল, সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। এখন অনেকের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, সেই সময়ে খালেদা জিয়াকে কোনো স্লো পয়জনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল কি না, আমরা পরিষ্কার করে জানতে চাই। তাদের পক্ষে কিছুই অসম্ভব নয়। এই দেশটাকে তারা বিক্রি করে দিয়েছিল। গণতন্ত্রকে তারা পুরোপুরি নির্বাসনে পাঠিয়েছে। যারা মিথ্যা মামলা দিয়েছে, গণতন্ত্রকামী নেতা–কর্মীদের গুলি করে হত্যা করেছে, তাঁদের পঙ্গু করে দিয়েছে। আমাদের ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ ৫০০ নেতা–কর্মীকে গুম করেছে, তাদের পক্ষে কিছুই অসম্ভব নয়।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ডাক্তাররা বলছেন ‘আমাদের সব বিদ্যা, জ্ঞান শেষ, আমরা এখানে আর কিছু করতে পারব না।’ তাদের এমপি–মন্ত্রীরা বলছেন, মানবিক কারণে যেতে দেওয়া উচিত। তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) এটা শুনতে চান না। কেন শুনতে চান না? এটা তাঁর প্রতিহিংসা, প্রতিশোধ। খালেদা জিয়াকে রাজনীতি নয়, জীবন থেকে নিশ্চিহ্ন করতে এই চক্রান্ত করছেন।

বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে না পাঠালে অনেক প্রশ্ন সামনে আসবে। এত দিন তাঁকে চিকিৎসা না দিয়ে স্লো পয়জনিং করা হয়েছিল কি না, সে প্রশ্নও আসবে। কেন বিদেশে পাঠানো যাবে না? বিদেশের হাসপাতালে পাঠালে কি সেগুলো ধরা পড়ে যাবে?

বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির একমাত্র বাধা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।