• নভেম্বর ২৫, ২০২১
  • শীর্ষ খবর
  • 258
জগন্নাথপুরে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মহড়া ও বিরিয়ানি খাওয়ানো

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চলছে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা। প্রার্থীরা প্রতিদিন তাঁদের সমর্থকদের নিয়ে মিছিল ও শোডাউনের মাধ্যমে উপজেলা সদরে রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন। মিছিল শেষে সমর্থকদের বিরিয়ানি দিয়ে আপ্যায়ন করা হচ্ছে। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জগন্নাথপুরে এভাবেই চলছে মিছিল, শোডাউন আর বিরিয়ানি ভোজ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রার্থীরা মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন ছোট যানবাহনযোগে সমর্থকদের নিয়ে নিজ নিজ এলাকা থেকে শোডাউন করতে করতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন।

উপজেলা পরিষদের সামনে কথা হয় আশারকান্দি ইউপির স্বতন্ত্র প্রার্থী জমিরুল হকের সমর্থক ইদ্রিছ আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘প্রার্থীর অনুরোধে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য এসেছি। আমরা দুই শতাধিক মানুষ একসঙ্গে এসেছি। প্রার্থী সবাইকে বিরিয়ানি দিয়ে আপ্যায়ন করেছেন।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক চেয়ারম্যান প্রার্থী বলেন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তাঁর সঙ্গে এলাকার পাঁচ শতাধিক মানুষ এসেছেন। ভোটের সময় তাঁদের খুশি রাখতে গিয়ে আপ্যায়ন করতে হয়েছে। তিনি দাবি করেন, এ সুযোগে রেস্তোরাঁগুলোতে ১০০ টাকার বিরিয়ানি ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের কয়েকটি রেস্তোরাঁ ঘুরে দেখা গেছে, প্রার্থীর সমর্থকদের উপস্থিতিতে তিল পরিমাণ জায়গা নেই।

মাহিমা রেস্টুরেন্টের মালিক মকবুল হোসেন জানান, তাঁর রেস্তোরাঁয় প্রতিদিন অন্তত দেড় থেকে দুই হাজার প্যাকেট বিরিয়ানি বিক্রি হচ্ছে। তবে তিনি বিরিয়ানির দাম বাড়াননি বলে দাবি করেন।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, জগন্নাথপুর উপজেলার সাত ইউপিতে নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৭ নভেম্বর থেকে মনোনয়নপত্র জমা শুরু হয়েছে। ২৫ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন। ইতিমধ্যে গতকাল বুধবার পর্যন্ত চেয়ারম্যান পদে ২০ জন, ইউপি সদস্যপদে ১৮৭ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্যপদে ৭০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার ব্যাপারে প্রার্থীদের সতর্ক করা হয়েছে। এরপরও প্রার্থীরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করে শত শত লোক নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসছেন।