• ডিসেম্বর ৪, ২০২১
  • শীর্ষ খবর
  • 238
সিসিকের মশক নিধন ও পরিচ্ছন্ন অভিযান শুরু

নিউজ ডেস্কঃ সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৭ টি ওয়ার্ডে মাসব্যাপী মশক নিধন ও পরিছন্নতা অভিযানের উদ্বোধন করা হয়েছে।

শনিবার (৪ মে) সকালে নগরীর ১নং ওয়ার্ডের দরগা গেইট এলাকায় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নিজ হাতে বিভিন্ন দোকানের টানানো ফুটপাতের উপর ব্যানার সমূহ অপসারণ করেন।

উপশহরের গৃহবধূ সেলিনা চৌধুরী বলেন, বিকেল হতেই মশার উপদ্রব শুরু হয়। মশারি টানিয়েও রেহাই পাওয়া যায় না। আবার কয়েলের ধোঁয়া সহ্য হয় না। তাই কয়েলও ব্যবহার করা যায় না। সিসিকের পক্ষ থেকে যে ওষুধ দেয় তাতে তো মশা মরে না, খালি ধোঁয়া হয়। এভাবে না করে মশা মারার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ আমরা ঘরেও বসতে পারি না। বাচ্চারা পড়তে পারে না।

এসময় সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধন ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান সফল করতে সিলেট মহানগরবাসির সহযোগিতা প্রয়োজন। সিসিকের কর্মীরা নির্দিষ্ট স্থান থেকে ময়লা আবর্জনা সংগ্রহ করে থাকেন। সম্মানীত নাগরিকরা নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা আবর্জনা ফেললে নগর পরিচ্ছন্নতার কাজ আরো দ্রুত সময়ে করা সম্ভব হবে।

কোন অবস্থাতেই বাসা-বাড়ির আশ পাশের খোলা স্থান, ড্রেন বা ছড়ায় আবর্জনা না ফেলতে নগরবাসির প্রতি আহবান জানিয়ে সিসিক মেয়র আরও বলেন, মশক নিধন অভিযানে ফগার মেশিন ও স্প্রে দ্বারা ঔষধ ছিটানো হচ্ছে। বিশেষ করে ডেঙ্গু মশার উৎস অনুসন্ধান ও নিধনে নাগরিকদের বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে। কারণ ডেঙ্গু বাসা বাড়ির ভেতরের বিভিন্ন স্থানে বংশ বিস্তার করে। যেমন, খাটের নিচে জমে থাকা পানিতে, এসির পানি, ফুলের টব, ডাব বা নারকেলের খোসা, বাসার ছাদে জমে থাকা পরিস্কার পানিতে ডেঙ্গু বংশ বিস্তার করে। ফলে এসব স্থান নিয়মিত পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ডেঙ্গুর উৎসের সন্ধান পেলে দ্রুত সিলেট সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগে জানানোর আহবান জানিয়েছেন মেয়র।

সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুদিন আগে থেকে সিসিকের পক্ষ থেকে মশক নিধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই দুদিন অফিস ও আদালতের মশক নিধন করা হয়। আর শনিবার (৪ ডিসেম্বর) থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মহানগরীতে দুমাস চলবে মশক নিধন কার্যক্রম।