• ডিসেম্বর ১২, ২০২১
  • শীর্ষ খবর
  • 252
সিলেট চেম্বারে পরিচালক পদে বিজয়ী যারা

নিউজ ডেস্কঃ সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল থেকে বিকাল অবধি শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এরপর গণনা শেষে গভীর রাতে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড।

মূলত চারটি ক্যাটাগরির মধ্যে দুটিতে নির্বাচন হয়। এ দুই ক্যাটাগরিতে ৪০ প্রার্থীর মধ্যে পরিচালক পদে বিজয়ী হয়েছেন ১৮ জন। অপর দুটি ক্যাটাগরিতে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৪ জন পরিচালক বিজয়ী হয়েছেন।

চেম্বার নির্বাচনে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার জলিল। এ সময় বোর্ডের দুই সদস্য অ্যাডভোকেট মিছবাউর রহমান আলম ও মো. সিরাজুল ইসলাম শামীম উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচনে অর্ডিনারি শ্রেণিতে সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ প্যানেলের ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ (৭১৩ ভোট), ফখর উছ সালেহীন নাহিয়ান (৭০৮), মুশফিক জায়গীদার (৬৫৩) এবং সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদের হুমায়ূন আহমদ (৯১১ ভোট), জহিরুল কবির চৌধুরী (৮৬৭), ফাহিম আহমদ চৌধুরী (৮৫৯), খন্দকার ইসরার আহমদ রকী (৭৯৬), আলীমুল এহছান চৌধুরী (৭৩২), মো. আব্দুস সামাদ (৬৮৮), দেবাংশু দাস মিঠু (৬৮৪), মো. নজরুল ইসলাম (৬৫৩), আব্দুর রহমান জামিল (৬৫০) বিজয়ী হয়েছেন।

এসোসিয়েট শ্রেণিতে বিজয়ীরা হলেন- সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের তাহমিন আহমদ (৬৫৭), মুজিবুর রহমান মন্টু (৬৫৭), ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী রাজিব (৬১২) ও কাজী মো. মোস্তাফিজুর রহমান (৬০৭) এবং সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদের জিয়াউল হক (৫৭০ ভোট) ও হাজী সরোয়ার হোসেন ছেদু (৫৪০)।

এদিকে, পরিচালক প্রার্থীদের মধ্যে ট্রেড গ্রুপ শ্রেণিতে ও টাউন অ্যাসোসিয়েশন শ্রেণিতে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের চারজন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তারা হলেন- ট্রেড গ্রুপ শ্রেণিতে আবু তাহের মো. শোয়েব (চেম্বারের বিদায়ী সভাপতি), মো. হিজকিল গুলজার ও মো. আতিক হোসেন এবং টাউন অ্যাসোসিয়েশন শ্রেণিতে আমিনুর রহমান। এ দুই ক্যাটাগরিতে চারটি পরিচালক পদে সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদ কোনো প্রার্থী দেয়নি।

ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদ ও সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ প্যানেল থেকে সমানসংখ্যক তথা ১১ জন করে প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। ফলে চেম্বারের প্রেসিডিয়াম গঠন নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা। কোনো প্যানেল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারায় এখন সমঝোতা ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা নেই বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।