• জানুয়ারি ২৯, ২০২২
  • জাতীয়
  • 218
করোনায় আরও ২১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১০৩৭৮

নিউজ ডেস্কঃ গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৩২৯ জনের।
এ সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৩৭৮ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৭৩ হাজার ১৪৯ জন।

শনিবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ১০৯ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৬৩ হাজার ৪৭৮ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৬৫টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩৩ হাজার ২৩০টি এবং নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৩ হাজার ৩৭৩টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ২৩ লাখ ৯০ হাজার ৩১৮টি।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ১০ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬০ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২১ জনের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ এবং সাতজন নারী রয়েছেন। মৃত ২১ জনের মধ্যে রয়েছেন ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে চারজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে তিনজন।

এতে আরও বলা হয়, মৃত ২১ জনের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিভাগের ১২ জন এবং চট্টগ্রাম বিভাগের দুইজন, রাজশাহী বিভাগের একজন, খুলনা বিভাগের দুইজন, বরিশাল বিভাগের একজন, রংপুর বিভাগের দুইজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের একজন। মৃত ২১ জনের মধ্যে ১৮ জন সরকারি হাসপাতালে এবং তিনজন বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন এক হাজার ৬০৯ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৯৬ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন চার লাখ ১১ হাজার ১১ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ ৬০ হাজার ৬৪০ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৫০ হাজার ৩৭১ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।