• ফেব্রুয়ারি ২, ২০২২
  • শীর্ষ খবর
  • 281
সিসিকের একার পক্ষে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্ভব নয়: মেয়র আরিফ

নিউজ ডেস্কঃ আধুনিক নগর গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কেবল সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) একার পক্ষে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, এজন্য সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা, সচেতনতা এবং নীতিমালা অনুসরণ জরুরি।

বুধবার (০২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিসিকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত নাগরিক সংলাপে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল নগরী সিলেট। নগরে প্রতিদিন আনুমানিক ২৮০-৩০০ মেট্রিক টন বর্জ্য উৎপাদিত হয়। উৎপাদিত বর্জ্যকে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার জন্য সিসিকের ২১টি প্রাইমারি ডাম্পিং স্টেশন এবং ৪৫টি সেকেন্ডারি ডাম্পিং স্টেশন বিদ্যমান। সাকার মেশিন দিয়ে সিউয়ারেজ ডেভলপমেন্ট, বস্তি-কলোনিতে ইউনিসেফকে সঙ্গে নিয়ে স্ল্যাম এরিয়ার মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব বাসস্থান এবং স্যানিটারি, মানিকপীরের টিলায় গার্ডেনিং, দুইটি পাইলট প্রোগ্রাম, সলিড বর্জ্য থেকে মেডিক্যাল বর্জ্যকে আলাদাকরণসহ ইত্যাদি কাজে সিসিক গুরুত্ব দিচ্ছে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) উদ্যোগে সিলেট সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শীর্ষক নাগরিক সংলাপ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

নাগরিক সংলাপে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান।

বেলার সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শাহ সাহেদা আখতারের সঞ্চালনায় নির্ধারিত আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন শাবিপ্রবির সিইই বিভাগের অধ্যাপক ড. জহির বিন আলম, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সুজন সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর। এ সময় মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকরামুল কবির ইকু, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. মোতাহার হোসেন, টিআইবির এরিয়া সমন্বয়কারী সাজিদুর রহমান, পরিবেশ অধিদপ্তরের সুকুমার সাহা, শাবিপ্রবির সহকারী অধ্যাপক সেতু আক্তার, অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম, বাপা সিলেটের আব্দুল করিম কিম, কাসমির রেজা প্রমুখ।

বেলার পক্ষ থেকে ভিডিও চিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে বলা হয়, ডাম্পিং স্টেশনে বর্জ্য পোড়ানো হয়, এটা পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। গৃহস্থালি পচনশীল বর্জ্য ক্ষতিকর না হলেও প্লাস্টিক বর্জ্য ক্ষতিকর, যা বিশ্বের প্রতিটি দেশেই স্বীকৃত। একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক আমাদের বর্জন করা উচিত। যদিও সম্পূর্ণভাবে প্লাস্টিক ব্যবহার থেকে সরে আসতে আমাদের সময় লাগবে।