• এপ্রিল ২২, ২০২২
  • সিলেট
  • 473
‘কৃষি ব্যাংকের অনলাইন লেনদেনে কোন চার্য গ্রহণ করা হয় না’

নিউজ ডেস্কঃ কৃষি ব্যাংক সিলেট বিভাগের শাখাসমূহের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও ব্যবসা সম্প্রাসরণ বিষয়ক পর্যালোচনা

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সিলেট বিভাগের শাখাসমূহের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও ব্যবসা সম্প্রাসরণ বিষয়ক পর্যালোচনা সভা-২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২২ এপ্রিল) সিলেটের হোটেল গ্রান্ড মোস্তফায় উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, সিলেট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. নাজমুল হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত পর্যালোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ইসমাইল হোসেন।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক চানু গোপাল ঘোষ, প্রধান কার্যালয়ের ক্রেডিট বিভাগের ডিজিএম মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম এবং আর্ন্তজাতিক বাণিজ্য বিভাগের ডিজিএম মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

উক্ত সভায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, সিলেটের বিভাগীয় নিরীক্ষা কর্মকর্তা, সিলেট করর্পোরেট শাখার ডিজিএম, মুখ্য আঞ্চলিক ব্যবস্থাপকবৃন্দ, আঞ্চলিক নিরীক্ষা কর্মকর্তাগণ এবং ১০২টি শাখার শাখা ব্যবস্থাপকবৃন্দ। সভায় ২০২০-২১ অর্থ বছরের সাফল্যের জন্য বিভাগাধীন ১২জন ব্যবস্থাপককে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

সিলেট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. নাজমুল হোসেন বিভাগের ১৮টি ব্যাবসায়িক লক্ষ্যমাত্রার পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, সিলেট বিভাগের যে সকল শাখা লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পিছিয়ে রয়েছে তাদেরকে আগামী জুন মাসের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জনের পরামর্শ প্রদান করেন। তিনি কৃষি সেক্টরে আরো কাজ করার সম্ভাবনা ও সুযোগ আছে বলে উল্লেখ করে ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মানে সকল কর্মকর্তাদের সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন।

বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ডিএমডি চানু গোপাল ঘোষ সিলেট বিভাগের ১০২টি শাখার লক্ষ্যমাত্রা ক্রমান্বয়ে পর্যালোচনা করেন। তিনি শাখার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ব্যবসা সম্প্রসারণে বিভিন্ন কলা-কৌশল বর্ণনাসহ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বলেন, জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া কৃষি ব্যাংককে সাধারণ মানুষের দোড় গড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। কৃষি ব্যাংকের ১০৩৮ টি শাখা এখন সম্পূর্ণ অনলাইন। অনলাইন লেনদেনে কোন চার্য গ্রহণ করা হয় না। কৃষি ব্যাংকের সেবা সমূহকে মানুষকে অবগত করতে হবে।

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীকালে সকল শাখা নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে সেবা দিয়ে গেছে। গত অর্থ বছরে সরকার ঘোষিত ‘প্রণোদনা ঋণ’ শতভাগ বিতরণ করেছে। বাংলাদেশ সরকারও এর স্বীকৃতি প্রদান করে ব্যাংককে পুরস্কৃত করেছে। চলতি বছরেও হ্রাসকৃত সুদে ‘প্রণোদনা ঋণ’ বিতরণ করা হচ্ছে। তিনি শাখা ব্যবস্থাপকদের দ্রæততা এবং স্বচ্ছতার সাথে এই সকল ঋণ বিতরণের নির্দেশনা প্রদান করেন। এবিষয়ে কোন ধরণের অভিযোগ বা ব্যত্যয় সহ্য করা হবে না বলে তিনি সবাইকে হুশিয়ার করে দেন। কৃষিই বাংলাদেশের প্রাণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা অনুযায়ী প্রতিটি গ্রামে শহরের সুবিধা প্রদানে কৃষি ব্যাংক বিশেষ ভূমিকা রাখছে।