• মে ২২, ২০২২
  • শীর্ষ খবর
  • 198
সিলেটে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি পোষাতে কিছুটা সময় লাগবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিউজ ডেস্কঃ সিলেটে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি পোষাতে কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। রোববার দুপুরে সিলেট সিটি করপোরেশনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় ভার্চ্যুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সহায়তায় সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সিলেট-১ (মহানগর ও সদর) আসনের এই সংসদ সদস্য।

সিলেট নগর ভবনে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। সিলেট শহরকে স্থায়ীভাবে বন্যামুক্ত রাখতে সুরমা নদী খননের গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা হয়। সেই সঙ্গে জানানো হয়, প্লাবিত এলাকার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামত ও পুনর্নির্মাণে তালিকা তৈরি করা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত বাসাবাড়িরও তালিকা তৈরি করা হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অতিবৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যার ক্ষয়ক্ষতি পোষাতে কিছুটা সময় লাগবে। দুর্গত মানুষের কল্যাণে সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসতে হবে। সুরমা নদী খনন, মহানগরের পুকুর-দিঘি উদ্ধার ও খনন এবং ছড়াগুলোকে (প্রাকৃতিক খাল) শতভাগ উদ্ধার করার নির্দেশনা দেন তিনি। সিটি করপোরেশন এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ–পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও বাড়িঘরের তথ্য সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠালে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ ধরনের দুর্যোগ থেকে রক্ষায় স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়নের ওপরও জোর দেন তিনি।

সভায় সিটি করপোরেশন, সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি উচ্চতর কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি নগরকে বন্যামুক্ত রাখতে করণীয় নির্ধারণে কাজ করবে। সিলেটের বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার প্রতিনিধি, অংশীজন এবং কাউন্সিলররা সভায় অংশ নেন। মহানগরের প্লাবিত এলাকার নাগরিকদের ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা ও বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ অব্যাহত রাখারও সিদ্ধান্ত হয়েছে সভায়। জানানো হয়, আগামী বর্ষাকালে যেন বন্যার পানি মহানগরে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য স্বল্প মেয়াদ কিছু পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। এর আওতায় মহানগরের যেসব এলাকায় সুরমা নদীর পাড় নিচু, সেসব পাড় উঁচু করা হবে।

সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনোয়ার সাদাত, মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার আজবাহার আলী, প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, কাউন্সিলর সালেহ আহমদ, শান্তনু দত্ত, ফরহাদ চৌধুরী, রাশেদ আহমদ, ইলিয়াসুর রহমান, এস এম শওকত আমীন তৌহিদ, এ কে এ লায়েক, সিকান্দর আলী, তারেক উদ্দিন, আব্দুল মুহিত জাবেদ ও সোহেল আহমদ, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মাসুদা সুলতানা প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।