• আগস্ট ৯, ২০২২
  • লিড নিউস
  • 230
সুনামগঞ্জে চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জে আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার কোর্ট পুলিশের দায়িত্ব থেকে তাঁদের সরিয়ে পুলিশ লাইনসসে সংযুক্ত করা হয়। গতকাল সোমবার দুপুরে সুনামগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে অসৌজন্যমূলক আচরণের ঘটনাটি ঘটে।

ওই চার পুলিশের মধ্যে একজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও তিনজন কনস্টেবল আছেন। তবে তাঁদের নাম প্রকাশ করেনি জেলা পুলিশ।

সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যে সবার সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে। যেহেতু আদালত এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। তাই যেসব পুলিশ সদস্যদের নিয়ে কথা উঠেছে, তাঁদের সেখানের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় করা পুলিশের দুই সদস্যের তদন্ত কমিটিও কাজ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবী ও সাংবাদিকেরা জানান, গত সোমবার দুপুরে সুনামগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবনের একটি আদালতে মামলায় সাক্ষ্য দিতে আসেন দুজন পুলিশ সদস্য। এর মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য মামলার আলামত রেখে এজলাস কক্ষ থেকে বের হয়ে যান। এতে ওই আদালতের বিচারক অসন্তুষ্ট হন। পরে ওই পুলিশ সদস্যকে ডেকে এনে হাতকড়া পরিয়ে এজলাস কক্ষে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এ ঘটনায় এজলাস কক্ষের বাইরে থাকা পুলিশ সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তাঁরা চিৎকার, চেঁচামেচি শুরু করেন। তখন আদালত কক্ষের বাইরের সেই দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করতে গেলে একজন টেলিভিশন সাংবাদিকের ওপর পুলিশ সদস্যরা চড়াও হন। তাঁর কাছ থেকে মুঠোফোন কেড়ে নেওয়া হয়। পরে আরও কয়েকজন সংবাদকর্মী ও আইনজীবী পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে ওই মুঠোফোন আনতে গেলে বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু করেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। একপর্যায়ে সাংবাদিক ও আইনজীবীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন তাঁরা।

ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ আইনজীবীরা তাৎক্ষণিক সমিতি ভবনে বৈঠক করেন। পরে ওই বৈঠকে পুলিশ কর্মকর্তারাও যোগ দেন। আইনজীবীরা তখন এ ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া দাবি জানান।

সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি পঙ্কজ কান্তি দে বলেন, ‘পুলিশ সদস্যরা সাংবাদিক ও আইনজীবীদের সঙ্গে যে আচরণ করছেন, সেটিতে আমরা ক্ষুব্ধ। বিষয়টি আমরা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।’

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি রবিউল লেইস বলেন, ঘটনা শুনেই আইনজীবীরা তাৎক্ষণিক বৈঠক করেন। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে বৈঠকে পুলিশ কর্মকর্তারা আসেন। তাঁরা আশ্বস্ত করেছেন, যাঁরাই এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ সদস্যরা যে আচরণ করেছেন, সেটা পেশাদার নয়। এ কারণেই আমরা তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি।’