• আগস্ট ২৮, ২০২২
  • শীর্ষ খবর
  • 164
হবিগঞ্জের চা শ্রমিকরা কাজে ফিরবেন সোমবার

নিউজ ডেস্কঃ শ্রমিক নেতারা জানিয়েছেন, রোববার সাপ্তাহিক ছুটির কারণে হবিগঞ্জের কোনো চা শ্রমিক কাজে ফিরেননি, তবে সোমবার থেকে যথারীতি কাজে ফিরবেন তারা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়ার পরের দিন কাজে ফিরেছেন মৌলভীবাজারের চা শ্রমিকরা, তবে রোববার কাজে ফেরেননি হবিগঞ্জের শ্রমিকরা।

শ্রমিক নেতারা জানিয়েছেন, রোববার সাপ্তাহিক ছুটির কারণে কোনো শ্রমিক কাজে ফিরেননি, তবে সোমবার থেকে যথারীতি কাজে ফিরবেন।

এদিকে কাজে ফেরা নিয়ে বৈঠকে বসেছেন সিলেটের চা শ্রমিকরা। বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ১৭০ টাকা মজুরিকে স্বাগত জানিয়ে সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন চা শ্রমিক নেতারা।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চা শ্রমিকদের মজুরি ৫০ টাকা বাড়িয়ে ১৭০ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এতে হবিগঞ্জের ২৪টি বাগানের শ্রমিকরা খুবই খুশি, তবে আজকে যেহেতু রোববার, বাগান সাপ্তাহিক বন্ধের দিন। তাই কোনো শ্রমিক কাজে ফিরেননি। আগামীকাল থেকে যথারীতি কাজে যাবেন।’

তিনি বলেন, ‘বাগান মালিকপক্ষ যদি চায় তাহলে নগদ তলবে শ্রমিকরা কাজে যেতে প্রস্তুত আছেন।’

বাংলাদেশ চা শ্রমিক নারী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সন্ধ্যা রানী ভৌমিক বলেন, ‘আমাদের দাবি ছিল ৩০০ টাকা মজুরি, কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেহেতু ১৭০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছেন, আমরা তাতেই খুশি। আমরা আনন্দ নিয়ে সোমবার থেকে কাজে ফিরে যাব।’

তিনি বলেন, ‘আন্দোলন চলাকালে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছি এবং রাস্তা অবরোধ করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি করেছি। এ জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।’

গণভবনে শনিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চা বাগান মালিকপক্ষের বৈঠক হয়। এতে শ্রমিকদের মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করে দেন প্রধানমন্ত্রী।

ওই সময় প্রধানমন্ত্রী চা শ্রমিকদের রোববার থেকে কাজে ফেরার আহ্বান জানান।

৩০০ টাকা দৈনিক মজুরির দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে চারদিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি ও ১৩ আগস্ট থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করে আসছিলেন চা শ্রমিকরা।

এমন বাস্তবতায় স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটি ধর্মঘট প্রত্যাহার করলেও তা মেনে নেননি সাধারণ চা শ্রমিকেরা। আন্দোলন সফল করতে সড়ক, মহাসড়ক, রেলপথ অবরোধ করতে দেখা যায় তাদের।